পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তা স্বীকার করিতে হয়। মনুষ্য জাতির | জগন্তর্গত ভৌতিক পদার্থের তত্ত্বানুসন্ধান মধ্যে কোন ব্যক্তি অামারদিগের কিঞ্চিষ্মাত্র উপকার করিলে তাহার প্রত্যুপকার করণ পুরঃসর আমরা তাহার নিকটে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে বাগ্র হইয়া থাকি, কিন্তু কি আশ্চর্য পরমেশ্বর আমারদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং রক্ষা করিতেছেন তথাচ তাহাকে স্মরণ করিতে অামারদিগের মনে একবারও উদয় হয় না । ধনোপাজুজনাদি বৈষয়িক ব্যাপারে অাসক্তিই পরমাত্মবিস্মরণের কারণ, কিন্তু এমত বোধ করা উচিত নহে যে অথোপাৰ্জ্জন সৰ্ব্বদানিন্দনীয়, যেহেতু অগঠিত উপায় দ্বারা | | | | পরিবার পোষণ করা মনুষ্যের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম, । ঐ বুদ্ধির প্রাখৰ্য সম্পাদন পুরঃসর তত্ত্বজ্ঞা পরন্তু দুঃখের বিষয় এই যে অধিকাংশ লোক ধনাসক্ত হইয়া আত্মতত্ত্বকে অনাদর করত কেবল ধনার্থ শারীরিক ও মানসিক চেষ্টায় আয়ু শেষ করেন, তাহারা মনে করেন যে ধনই পরম পুরুষাৰ্থ, তদ্ভিন্ন পারলৌকিক পদার্থ আর নাই,স্বতরাং অর্থে পার্জনাতে । পরমার্থ উপাসনা বিস্মৃত হয়েন । ঐ সকল । হয়, তথাচ ভগবানের কি আশ্চৰ্য্য মহিমা, লোকেরা যে ধনোপাৰ্জ্জনার্থে আত্যন্তিক চেষ্টা করেন তাঙ্কার বিশেষ এক কারণ এই, যে তাতার ধনকেই তাবৎ মুখের মূল বোধ করেন কিন্তু বস্তুতঃ তাঙ্কণ নহে, সে ৰূপ বোধ কেবল তাহারদিগের ভ্রম মাত্র । ধন দ্বারা ৎকৃষ্ট দ্রব্য ভোগ এবং পরিধান নিৰ্বাহ হয় বটে, কিন্তু তন্মাত্রকে মুখ বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে না ; মুখ ও দুঃখ মনের ধৰ্ম্ম । মনুষ্যের অন্তঃকরণে প্রবিষ্ট হইবার যদি কোন উপায় থাকিত তবে অবশ্য দেখা ও দেখান যাইত যে উত্তম পরিচ্ছদ পরিধান পূর্বক রথরোহণ করিয়া ভ্রমণকারিদিগের মধ্যে শত শত ব্যক্তি মানসিক দুঃখে দুঃখিত রহিয়াছেন । বাস্তবিক সদুপায় দ্বারা অর্থোপার্জন করা যদিও গর্হিত এবং নীতি বিরুদ্ধ না হউক তথাপি তাহাতে আসক্ত হইয়া কেবল তদৰ্থ চেষ্টায় জীবন ক্ষেপ করাতে মনুষ্য জন্মের সার্থক্য কদাপি নাই, যেহেতু নীতিজ্ঞ হইয়া উত্তমৰূপে সাংসারিক কাৰ্য্য নির্বাহ এবং পূর্বক আত্মজ্ঞানোপাৰ্জ্জনের নিমিত্তে পরমেশ্বর মানবজাতির সৃষ্টি করিয়াছেন । ঐ বিভু স্বসৃষ্ট মনুষ্য পখাদি তাবৎ প্রাfণকে সামান্যতঃ আহার নিদ্রা প্রভৃতি কতিপয় সাধারণ ধৰ্ম্ম প্রদান করিয়া মনুষ্যজাতিকে পশ্বাদি হইতে পৃথক এবং প্রধান করিবার নিমিত্ত তাহারদিগকে বুদ্ধি এই এক পদার্থ অধিক দিয়াছেন। অতএব যে মনুষ্য আপনাকে কৃতকাৰ্য্য বোধ করেন, তিনি পশ্বাদির মধ্যে গণ্য হইতে পারেনঃআর পরাৎপর পরমাত্মতত্ত্বানুসন্ধানের জন্য মানব জাতিকে বুদ্ধি দিয়াছেন, যে ব্যক্তি শিক্ষা দ্বারা নোপার্জন করিয়। উক্ত অভিপ্রায় সফল না করেন তিনি কখনই নিরতিশয় আধ্যাত্মিক মুখাস্বাদনে অধিকারী হইতে পারেন না । অপর যদিও এ পৃথিবীতে প্রবঞ্চনাদি দুস্কৰ্ম্ম ব্যুহের প্রারল্য ८इडू আপাততঃ পারত্রিক পদার্থীপেক্ষ ঐহিক পদার্থ স্বার্থ প্রিয়জ্ঞান নীতি জ্ঞান এবং তত্ত্বজ্ঞান ব্যতিরেকে যে যথার্থ মুখ হয় না এ সিদ্ধান্তে কাহারও সন্দেহ নাই । সকলেক্ট স্বীকার করেন যে পাপি উত্তম পরিচ্ছদ । মনুষ্য কুবেরের তুল্য ধনবান হইলেও স্বর্থী হইতে পারে না , কিন্তু জীব মাত্রের কিতৈষি ঈশ্বরোপাসক ধাৰ্ম্মিক ব্যক্তি ধনাদি বিরহেও পরম মুখ ভোগ করেন এবং যদৃচ্ছা! লাভে সস্তুষ্টি হেতু সৰ্ব্বদা নিৰ্ব্বত থাকেন । ধর্মের সহিত মুখের এবং অধৰ্ম্মের সহিত দুঃখের যে এই সম্বন্ধ দুষ্ট হইতেছে তাহ এক প্রকার পরমেশ্বরের দয়ার প্রতি প্রমাণ হইতে পারে,যখন আমরা একাগ্রচিত্ত হইয়া এতদ্বিষয় চিন্তা করি তখন পরমেশ্বর যেন সাক্ষাৎ আমারদিগকে দুষ্কৰ্ম্ম হইতে নিবৃত্তও ধাৰ্ম্মিক হইতে আদেশ করিতেছেন এমত বোধ হয়। অধিকন্তু ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম কেবল পারত্রিক মুখ দুঃখের কারণ নহে ইহ লোকেও অ নেক ব্যক্তির তজ্জন্য মুখ দুঃখ প্রত্যক্ষ অনুভূত হইতেছে, অতএব ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্ম যে স্থখ