পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৮ মদিরা পানের উপদ্রব কিছু মাত্র ছিল না। এইক্ষণে দুৰ্বন্ধি লোক সকল অনাদি বেদ শাস্ত্রকে অনাদর করিয়া তন্ত্রোক্ত মদ্যপানের বাহুল্য বিধি প্রতি স্থখণশ্বাসে নির্ভর করাতে এই মহা পাপ বিশেষতঃ বঙ্গদেশকে সম্যক ৰূপে আশ্রয় করিয়াছে । যে নবদ্বীপ এই বঙ্গ দেশের মধ্যে বিদ্বান ও স্বশীল এবং সাধু ব্যক্তিদিগের প্রধান স্থান ছিল, যে স্থানে অদ্যাপি ব্রাহ্মণ কায়স্থ প্রভূতি বহু ভদ্র সন্তানের বসতি, কি আশ্চৰ্য্য ! সেই স্থানও এই পান রোগে বিশেষ জীর্ণ হইয়াছে । বিংশতি বৎসরের পূর্বে উক্ত গ্রামে ভদ্র লোকের মধ্যে মদ্যপায়ী কেবল এক ব্যক্তি প্রাপ্ত হওয়াও দুষ্কর হইত, কিন্তু এইক্ষণে তথায় শত শত ব্যক্তিকে প্রতিদিন সুরা পানে ক্ষিপ্ত দেখা যায়। তাহার কিঞ্চিৎ উত্তরে মেড়তলা নামক এক ক্ষুদ্র গ্রাম এই পাপে যে প্রকার ময় হইয়াছে, তাহা সৰ্ব্বত্র বিখ্যাতই আছে। এই ৰূপ মুর্শিদাবাদ, মেটেরী, কৃষ্ণনগর, গোয়াড়ি, শান্তিপুর, গুপ্তিপাড়া, কাচরাপাড়া, কালিসহর, মম্বনপুর, খড়দহ, কোণনগর, টাকী, শিবহাটা,যশোহর প্রভৃতি কি ক্ষুদ্র কি গও গ্রামস্থ অনেক ব্যক্তিই মদ্য রসে এ প্রকার মগ্ন হইয়াছে, যে তাহা হইতে অল্প চেষ্টায় তাহারদিগের উদ্ধৃত হইবার সম্ভাবনা নাই । এই মদ্য পানের প্রবলত। জন্য কলহ, বিবাদ, ব্যভিচার, চৌৰ্য্য, হত্য প্রভৃতি নানা দৌরাত্ম্য প্রতিদিন শত শত স্থানে সংঘটিত হইতেছে । কেশন কোন গ্রামের এমত অপবাদ কি শ্রবণ করা যায় নাই, যে তত্রস্থ লোকেরা পান রসে মুগ্ধ হইয়া ব্যভিচার বিষয়ে সম্পর্কও বিবেচনা করে মাই ইহা কি जूदग्नाडूञ्च अदम कल्ला याज्ञ नाझे, cब थाभइ কোন কোন পরিবার স্বরার পরাক্রমে পরাভূত হইয়া বলিদানের উপলক্ষে গুরু পুরোহিতকে ছেদন করিতে প্রস্তুত হইয়াছিল ? ইহ। কি বিখ্যাত নাই, যে প্রায় তিন বৎ बाथक यात्म कछाक जन क्लङ्ग कूनाख्ब rför | | তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা। দেশে তাহারদিগের মধ্যে এক জনকে ছাগ বা মেষ জ্ঞানে প্রকৃত বলিদান করিয়াছিল ? এই দুর্ঘটনার পর কি আরও সংবাদ পাওয়া যায় নাই, যে ইহার ন্যায় মদ্য চক্রে অনেক লোক হত হইয়াছে ? যখন পল্লীগ্রামের মধ্যে এ প্রকার দুশ্চরিত্রের প্রাদুর্ভাব, তখন সকল কুকৰ্ম্মের আকর স্থান যে রাজধানী তাহাতে এ পাপের বৃদ্ধি কি পৰ্য্যন্ত না হইতে পারে ? অন্য অন্য স্থানের ন্যায় এই কলিকাতা নগরেও পূৰ্ব্বে মদ্য পানের ব্যবহার প্রায় ছিল না, সম্প্রতি প্রায় ত্রিশ বৎসর অবধি ব্রাহ্মণ বৈদ্য কায়স্থ সকল শ্রেণী মধ্যে ইহার ক্রমাগত প্রবলতা হইতেছে । এই কলিকাতার স্থানে স্থানে প্রায় এক শত মদ্যের বিপণী স্থাপিত হইয়াছে, এবং তদ্ব্যতীত রাধাবাজার প্রভৃতি অন্য অন্য নানা স্থানে প্রতিদিন কত মদ্য বিক্রয় হয় তাহার নিয়ম নাই । স্মরণ করিতে ঘৃণা হয়, যে উক্ত বিপণীর মধ্যে দিব। রাত্রি ১০ । ১৫ জন ক্রমাগত স্থরা পানে মত্ত হইয়া পরস্পর কলহ করিতে থাকে । সস্ক্যার পর কলিকাতার অৰস্থার প্রতি নেত্রপাত করিলে কি দৃষ্ট হয় ? কোন স্থানে বহু ব্যক্তি একত্র হইয়া মদ্য রসে প্রমত্ত হইতেছে, কেহ বা অভিভূত হইয়া পথের মধ্যে স্থপ্ত রহিয়াছে, কোন স্থানে ভূরি ভূরি ম নুষ্য ক্ষিপ্ত হইয়া পথিকদিগের প্রতি উপদ্ৰৰ করিতেছে, এবং অধিকাংশ গণিকালয় কেবল মদির মত্তের কোলাহলে খুনিত হইতেছে । বিশেষতঃ রাজ্য মধ্যে কোন পাপ প্রবিষ্ট হইলে বিদ্বান লোকের দ্বারা তাহার দমন হইবার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু আশ্চর্য যে এইক্ষণে র্যাহারা আপনারদিগকে বিদ্যাবান বলিয়া অভিমান করেন, তাহারাই ইউরোপীয় জাতির আদর্শক্রমে এই মোহকারি দুষ্কৰ্ম্ম পাশে অধিক বন্ধ হইতেছেন । ৰিশেষ আক্ষেপের বিষয় এই, যে তাহার উত্ত জাতির কুব্যবহার মাত্র শিক্ষা করিতেছেন, কিন্তু স্বদেশের হিত চেষ্ট প্রভৃতি তাহারদিগের সদগুণের দৃষ্টান্ত কেহ গ্রহণ করেন A R &