পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা নাবিরতোদুশ্চরিতামাশান্তোনাসমাহিতঃ। মাশাস্তমানসোবাপি প্রজ্ঞানেনৈনমাপুয়াৎ ॥ বিজ্ঞানসারথির্যস্ত মনঃপ্রগ্রহবান্নরঃ । সোইধানঃ পারমাপ্নোতি তদ্বিষ্ণেঃ পরমথ পদ৭ { এই প্রকারে যে ব্যক্তি ইহলোকে বা পরলোকে পরমেশ্বরের জ্ঞান লাভ করিয়া সাধু কৰ্ম্ম সকল সম্পন্ন করেন, এবং সম্যক ৰূপে দুষ্কৰ্ম্ম হইতে বিরত থাকেন, তিনি সেই স্থান হইতেই পরম মুখ মুক্তি প্রাপ্ত হয়েন । সোচশতে সন্ধান কামান সহ ব্রহ্মণ বিপশ্চিন্তেতি ॥ তেষা সুখ শাশ্বত৭ মেতরেষা^ ৷ প্রেত্যাম্মাল্পোকাদমুতাভবন্তি ॥ সৰ্ব্বান কামানাপুস্থিতঃ সমভবৎ সমভব । পরাৎপরং পুরসমুপৈতি দিব্যথ | حeها يميزه ورصة " . ব্রহ্মস্তোত্র হে জগদীশ্বর! তুমি এই অচিন্তা বিশ্বকে রচনা করিয়! আত্ম মহিমা প্রকাশ করিয়াছ, এবং তোমার করুণা দ্বারা তাহাকে আনন্দের জগৎ করিয়াছ । কি ভূচর কি জলচর কি থেচর অতি ক্ষুদ্র পিপীলিকা অবধি অতি বৃহৎ হস্তি পৰ্য্যস্ত সকলের প্রতি তোমার সমান দয়া প্রকাশ পাইতেছে । নেত্র উন্মীলন করিলে চতুর্দিকে প্রত্যক্ষ হইবে, যে কত সহস্ৰ সহস্ৰ পশু পক্ষ্যাদি আহার বিহার ক্রীড়াদি করিয়া প্রচুর ৰূপে নিয়ত পরিতুষ্ট হই । তেছে । ৰসান্ত কালে যখন নানা বিধ পশু গণ প্রসন্ন মনে ক্ষেত্র মধ্যে আহলাদের সহিত ইতস্ততঃ ভ্রমণ করত নৃত্য করে, বিহঙ্গ সকল স্কৃৰ্ত্তিতে পূর্ণ হইয়া বায়ু সাগরে ক্রীড়া করত মধুর স্বরের দ্বারা মনের আহাদ প্রকাশ করে, মধু মক্ষিক সকল পুষ্পের সহিত মিশ্রিত হইয়া মধুপানে অবিরত নিযুক্ত থাকে, এবং Ꮌ☾ দৃষ্টি করিবার কি প্রয়োজন । ত তোমার দয়া যে প্রকার বিস্তীর্ণ ৰূপে প্রচার রহিয়াছে তাহ স্মরণ করিলে কাহার চিত্ত কৃতজ্ঞতা রসে না আদ্র কইবে । তুমি মনুষ্যের সন্তানকে সৃষ্টি করিয়া দশ মাস পৰ্য্যন্ত মাতৃ গর্ভে পালন কর,সেই শিশু ভূমিষ্ঠ হইয়াপান করিবে এ নিমিত্তে মাতৃ স্তনে দুগ্ধের সঞ্চার কর, ভূমিষ্ঠ কালে বালক সমুদয় শক্তি হীন এবং আশ্রয় হীন এনিমিত্তে তুমি মাতার মনে এ প্রকার ক্ষেঙ্গের সৃষ্টি কর যে সেই বালকের খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ সমুদয় কেবল সেই এক মাতার স্নেহ মাত্র । সেই বালকের ক্ষুধা হক্টলে মাত। তাহাকে আক্তার প্রদান করেন, | ষখন প্রত্যুৰে নাম জলাশয়ে মৎস্যের শ্রেণী । সকল জলময় সস্তরণ পূৰ্ব্বক মনের পুলক প্রকাশ করিতে ব্যস্ত থাকে, তখন এই পখি & বীকে মুখের ধাম ব্যতীত আর কি শব্দে ব্যক্ত করা যায় ? কিন্তু হে পরমাত্মন! তোমার করুণ প্রত্যক্ষ করিবার জন্য অধিক গরে | | | | সে শীতে পীড়িত হইলে তাঙ্কণকে বস্ত্র দ্বারা আচ্ছাদন করেন, এবং রোগ দ্বার: আ ক্রান্ত হইলে তাহার প্রতীকারের জন্য তিনি ব্যাকুল হইয়া যত্ন করেন । সস্তান স্বচ্ছন্দ থাকিলেই তিনি স্বচ্ছন্দ থাকেন, এবং সন্থানের পীড়া চইলেক্ট তাহার ও পীড়া হয় । এই ৰূপে অনায়াসে বালকের জীবন রক্ষণ হইয়া উন্নতি প্রাপ্ত হয় । পরন্তু তুমি শিশুর স্বভাব কি আশ্চৰ্য্য করিয়াছ ! সে যে হস্ত পদ স্পন্দনাদি দ্বারা আনন্দ অনুভব করে, এ নিয়ম তুমি এই কারণে করিয়াছ, যে তদুপরী তাহার ইন্দ্রিয় সকল প্রবল এবং তেজস্বি হইয়। ভবিষ্যতে সে সুখ হইবে ; অতএব তুমি এক স্বর্থের জন্য অন্য মুথের সঞ্চার করিয়াছ । মনুষ্যের কেবল শৈশব কালকে আনন্দময় করিয়া তোমার করুণ, নিরস্ত; হইয়াছে এমত নহে, তুমি পিতার মনে যে গাঢ় স্নেহ স্থাপন করিয়াছ, তাঙ্ক তে তিনি আপন পুত্রের ধন,মান,বিদ্যা প্রভূতির উপজর্জনের জন্য বাস্ত থাকেন, যাহাতে সেই পুত্ৰ যাবজ্জীবন সুখে কাল যাপন করিতে শক্ত হয় । পৃথিবীর এক জীব যে মনুষ্য তাহার প্রতি তুমি এই ৰূপ অপরিমেয় দয়া বর্ষণ করিয়াছ । কিন্তু কেবল পৃথিবীতেই কি তোমার আশ্চৰ্য্য মহিমা দীপ্তিমান রহিয়াছে ? গ্ৰহ নক্ষত্রাদি যে সকল অসংখ্য তেজোমণ্ডল মস্তকোপরি প্রদীপ্ত দেখিতেছি, তাহারাও তোমার অগপ যতেক