পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ケペ তের সম্ভাবনা পর্যন্ত দূর করিয়াছেন । যিনি যে অবস্থায় থাকুন, তাহার জীবন অভ্যাস দ্বারা সেই অবস্থার যোগ্য হয় । ধনি ব্যক্তি প্রতি দিন পায়সান্ন ভোজন দ্বারা যেৰূপ পরিতুষ্ট হয়েন, নির্ধন ব্যক্তি শাকান্ন আহার দ্বারা তদপেক্ষ অলপ স্থার্থী হয়েন না । অট্টালিকার অধিকারী অট্টালিকায় বসতি করিয়া যেৰূপ স্বর্থী হয়েন, পর্ণ নিৰ্ম্মিত কুটার বালী তাঙ্কণর অপেক্ষ অলপ সুখী হয়েন না । ইহাও দেখা গিয়াছে যে পূৰ্ব্বে যিনি গুহ মধ্যে স্নিগ্ধ ছায়াতে থাকিয়াও গ্রীষ্ম জন্য কাতর হইতেন, অভ্যাস বশতঃ তাহার শরীরে সূর্যের উত্তাপও সম্ভ হইতেছে । দিন দিন মনুষ্যের অবস্থা যেমন পরিবৰ্ত্ত হইতে থাকে,তাহার সঙ্গে দিন দিন তিনি সেই পরিবর্ত অবস্থার যোগ্যতাও উপাৰ্জ্জন করিতে থাকেন । এই আশ্চৰ্য্য সমর্থ্য না থাকিলে মনষ্য এ পৃথিবীর যোগ্য হইত না। হে জগদীশ্বর তোমার এই করুণ এবং মহিমা যেন ক্ষণ কাল নিমিত্তে বিস্মৃত না হই । আপনার দৃষ্টান্ত দ্বারা অনুমান করিতেছি যে পরমেশ্বর সাধারণ ৰূপে সকলের প্রতি দয়া প্রকাশ করিয়া ও নিরস্ত হয়েন নাই, তিনি প্রত্যেক মনুষ্যের প্রতি বিশেষ বিশেষ উপকার করিতেছেন । কোন ব্যক্তি যদি তা হার শৈশব কাল অবধি সমুদয় অবস্থা আলো- , চনা করেন,তবে তাহার স্মরণ হইবে যে তিনি কত বিপদ হইতে মুক্ত হইয়াছেন, এবং কত আনন্দ সম্ভোগ করিয়াছেন,এবং কত বিষয়ে আশার অতীত ফল প্রাপ্ত হইয়াছেন । তিনি অবশ্য উপলব্ধি করিবেন যে চক্ষুর আগেচর এক জন রক্ষা কৰ্ত্তা রজনীতে নিদ্রণকালে এবং দিবসে জাগ্রৎকালে তাছাকে রক্ষ। • * “তত্ত্ববোধনাগাত্ৰক ll প্রকাশের ন্যায় জ্ঞানের আলোক দ্বারা এক এক বার কিঞ্চিৎ মাত্র দশন করি । আমরা সকল বিষয়ের একদেশ মাত্র দৃষ্টি করি, সমৃদয়ে নেত্র ক্ষেপ করিতে অশক্ত থাকিয়া সকল অংশ পরিষ্কারৰপে প্রত্যক্ষ করিতে পারি না, কিন্তু ইহাতে আপনার দূর দৃষ্টির অভাব স্বীকার না করিয়া পরমেশ্বরের প্রতি দোষারোপ করা আরও কি অজ্ঞানের কৰ্ম্ম ? যদি বর্তমান অবস্থায় অসস্তুষ্ট হইয়া কেহ মনে করেন যে পরমেশ্বর মনুষ্যের জ্ঞানেন্দ্রিয় সকলকে এইক্ষণ অপেক্ষা অধিক বলবান না করিয়াছেন কেন ? তবে তাঙ্গার উত্তর এই যে অামারদিগের ঐ ইন্দ্রিয় গণকে বর্তমান অপেক্ষা যে অধিক বল না দিয়াছেন সে অামারদিগের মঙ্গলের নিমিত্তই হইয়াছে ; যদি তাহারদিগকে অধিকতর বলবান করিতেন তবে তাহারা আমারদিগের কেবল দুঃখের কারণ হইত । শ্রবণ শক্তি যদি এইক্ষণ অপেক্ষা সহস্র গুণ অধিক হৃষ্টত, অধুনা যে সকল শব্দ অতি কোমল বোধ হইতেছে তাহ বজ্ঞের ন্যায় মহা ভয়ঙ্কর পুনি জ্ঞান হইত,যে সকল বাদ্যযন্ত্র ও বিচঙ্গাদির মধুর স্বর দ্বারা এইক্ষণে চিত্ত প্রফুল্ল হইতেছে, তাঙ্গ বিকট হইয়া চিত্তের বিকলতাকেই জন্মাইত, এবং মান ককশ শব্দ প্রতি নিমেষে অন্তঃকরণকে বিরক্ত করিত। তদ্রুপ আঘাণ শক্তি যদি অধিক হইত, তবে যে সকল অল্প দুৰ্গন্ধ এইক্ষণে মনের গোচরও হয় না তাহ প্রতিক্ষণ অনু ভূত কষ্টয়া কেবল ঘূণাকর হইত,যেহেতু অপ দুৰ্গন্ধবিশিষ্ট দ্রব্যের অবস্থিতি প্রায় সকল করিতেছেন। এব-প্রকার করুণাপূর্ণ পরমে- , নিয়ত বিকল করিত । ইহা হইলে এই পুথি শ্বরকে স্মরণ করিয়া যাহার মন পুলকিত না হয়, তাহাকে কি মনুষ্য বলা যায় । তিনি আমারদিগকে যে প্রকার স্বভাব যুক্ত করিয়াছেন,এবং যেৰূপ অবস্থায় স্থাপন করিয়াছেন, তাঙ্গ কেবল অামারদিগের হিতের बिभिरडझे इझेशारङ्ग ? श्रोयज्ञा श्रख औद, অন্ধকার কুটার মধ্যে বন্ধ থাকিয় বিদ্যুৎ স্থানেই আছে , এবং দূর স্থিত গলিত বস্তুর গন্ধ যাহা এইক্ষণে নিকটস্থ হইতে পারে না, ঘ্ৰাণ গোচর হইয় তাহা চিত্তকে দ্বীতে কি জীবন রক্ষা পাষ্টত ? পরমেশ্বর অামারদিগকে কি জন্য অধিক উৎকৃষ্ট করেন নাই, এ প্রশ্ন করিবার পূর্বে ইহা বিবেচনা করা উচিত যে তিনি কি নিমিত্ত অামারদিগকে অধিক অপরুষ্ট করেন নাই। শরীর নির্মাণের নিমিত্তে যে ৰূপ