পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা পৰ্য্যন্ত আমরা তাহার মুখ জনক রাজশাসনের অধীন থাকিব । তাহার মহারাজত্বের নিয়ম জ্ঞানের নিমিত্তে আলোচনা দ্বারা বুদ্ধিকে সংস্কৃত করা যেৰূপ আবশ্যক, সেই নিয়ম সমুদয় প্রতিপালনের জন্য আমারদিগের মানসিক ধৰ্ম্মবৃত্তি সকলকে চালনা দ্বারা পরিস্কৃত করা তদ্রুপ প্রয়োজনীয় । কেবল এই শেষোক্ত তাৎপৰ্য্য ধৰ্ম্ম বিষয়ে অবহেলা প্রযুক্ত এ দেশীয় বিদ্যালয় সকলের সম্যক ফল প্রাপ্ত হইতেছে না, এবং নানা বিদ্যায় বিদ্বান হইয়াও অনেকে ধৰ্ম্মে রত এবং সৎকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইতেছেন না । র্যাহারা অতি দূরস্থ চন্দ্র সূৰ্য গ্রহ প্রন্থ তির গতিবিধির জ্ঞান উপাৰ্জ্জন নিমিত্তে একান্ত উৎসাচি, সেই সকলের অষ্টা এবং নিয়ন্ত পরমেশ্বরের আরাধনাতে তাহার কি নিমিত্তে বিমুখ আছেন । যাহার বুদ্ধির মার্জন দ্বারা পৌত্তলিক ধৰ্ম্মকে কাণপনিক জানিয়াছেন, তাহার। তৎ পরিবৰ্ত্তে যথার্থ ধৰ্ম্ম অবলম্বন না করিয়া সেই পৌত্তলিক ব্যাপারে অতি উৎসাহের সহিত । কি নিমিত্তে আমোদে মগ্ন হয়েন । যাহারা বিদ্যাভ্যাসের তাবৎ কাল পর্যন্ত ভূয়োভূয়ঃ গ্রন্থে শিক্ষা করিয়াছেন যে পরস্পর প্রীতি এবং একত। দ্বার স্বদেশের হিত চেষ্টা প্রাণ পণে কৰ্ত্তব্য, তাহারাও কি নিমিত্তে নিরুদেযাগ এবং নিরুৎসাহ হইয়া রাজ্যের সকল শুভ সূচক কাৰ্য্যে বিরত থাকেন ? এই সমুদয় প্রশ্নের এক মাত্র সিদ্ধান্ত এই যে ভারতবর্ষের মুখ স্বাদু লাভের নিমিত্তে বিদ্যালয় স্বৰূপ যে মনোহর উদ্যান সকল প্রস্তুত হইয়াছে, তাহাতে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট মুমিষ্ট ফলদায়ক ধর্মের অঙ্কুর রোপিত হয় নাই । ছাত্রের শৈশব কালাবধি যদি সত্য ধৰ্ম্মের চর্চা করিত, যদি তাহার যুগ্ম সমুদয় হৃদয়জম করিত, যদি চিত্ত মধ্যে এই প্রত্যয় দৃঢ়ৰূপে বদ্ধ করিত যে পরমেশ্বরের সাক্ষাৎ উপাসনাই নিৰ্ম্মলানন্দ, তাহার নিয়ম প্রতিপালনই সকল মঙ্গলের কারণ, এবং তাহার অবহেলাই সমুদয় দুঃখের হেতু, उरब डांशब्र! अशाङ्ग भश्मि, शब्लथ दब्रा Rott বান্‌ পরমেশ্বরকে কি নিমেষের নিমিত্তে বিস্মৃত হইত, তাহার নিরাকার স্বৰূপকে জ্ঞাত হইয়া কি পৌত্তলিক ব্যাপারে উৎসাহি হইত, তাহার নিয়মকে লঙ্ঘন করিয়া কি কুকৰ্ম্ম মদে মত্ত হইত, এবং তাহার প্রীতির নিমিত্তে স্বদেশস্থ লোকের মঙ্গল জন্য সাধ্যমত কোন চেষ্টা করিতে কি বিরত থাকিত ? ফলতঃ এপর্য্যন্ত ধৰ্ম্ম বিষয়ক অধ্যয়নের অভাব প্রযুক্ত যে সকল বয়স্ক ব্যক্তি ধৰ্ম্ম হীন রছিয়াছেন, তাহারদিগের সম্পূর্ণ ধৰ্ম্মের বল হওয়া এইক্ষণে যদিও দুঃসাধ্য, কিন্তু তাহারদিগের বংশে সত্য ধর্মের আশুস্কৃৰ্ত্তি যাহাতে হয়, তাহার যথা সাধ্য যত্ন করিতে ক্ষণ কাল বি লম্ব উচিত হয় না । এপ্রকার যত্ন করা এইক্ষণে সকলের সাধ্য নহে। ভিন্ন জাতীয় রাজা, রাজপুরুষের স্বয়ং কাল্পনিক ধৰ্ম্মে অভিষিক্ত, এ নিমিত্তে জগদীশ্বর তাহারদিগের হস্তে এ ভার সমপণ করেন নাই, অতএব তাহারদিগের অধীন বিদ্যালয়ে সম্যক ৰূপে ধৰ্ম্মের চর্চ হওয়া সম্ভব নহে । আমারদিগের দেশস্থ লোকের মধ্যে র্যাহারা সাকার উপাসক, ও র্যাহারা স্বয়ং সত্যের প্রভা প্রাপ্ত হয়েন নাই,তাহারাই বা কিপ্রকারে জ্ঞানের ও সত্য ধৰ্ম্মের উপদেশ করিতে সমর্থ হইবেন ? অতএব বালকদিগকে ধৰ্ম্মোপদেশ করিবার ক্ষমতা ও ভার কেবল বৈদান্তিক ব্রহ্মোপাসকদিগেরই হস্তে অপিত হইয়াছে । তাহারা যদি এই নিয়মে বৈষয়িক ও পারমাথিক উভয় জ্ঞান অনুশীলন জন্য নানা স্থানে বিদ্যালয় সংস্থাপন করেন, এবং প্রত্যেকে এই অভিলাষ মুসিদ্ধির নিমিত্তে সাধ্যমত স্বযত্ন করেন, তবেই এ মানস ক্রমশঃ পুর্ণ হইবার সম্ভাবনা ৷ ইহা সত্য যে এইক্ষণে ব্রাহ্মের সংখ্যা অতি অলপ, কিন্তু যদি আমারদিগের দেশস্থ লোক আপনার মঙ্গল ইচ্ছা করেন,আপন সন্তানের হিত অভিলাষকরেন, পরিবারের মুখ প্রার্থনা করেন, এবং স্বদেশের সৌভাগ্য আকাজক্ষা করেন, তবে অবিলম্বে ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করুন,তাহার প্রচার জন্য উত্তম উপায় সকল সংগ্রহ করুন, এবং স্বীয় স্থাপিত বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান শাজের উপদে