পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৮

ჯთ° अथैौटन श्रीनग्नन खाना नानाभरड ड्राग्नाडूच्च দুষ্পবৃত্তি প্রদান করাতে করুণাময়ী শ্ৰেয়ঃ দুঃখিতান্তঃকরণে প্রেয়কে কহিতেছেন, যে এমত সুশীল শ্রদ্ধান্বিত তরুণাবস্থ ব্যক্তিকে দয়া না করিয়। যে একেবারে দুঃখ সাগরে নিমগ্ন করিবার নিমিত্তে এবপ্রকার কুপ্রবৃত্তি দিতেছ, ইহ। তোমার স্বভাব মাত্র । তুমি যে প্রকার ইন্দ্রিয়াদি জন্য নানাবিধ সুখ দেখাইলে ক্রমাগত ভোগ করা কোন প্রকারে সম্ভব হয় না । যেহেতু প্রত্যক্ষ দেখ। যাইতেছে, যে উপভোগ দ্বারা ইন্দ্রিয় সকল הבית -- こ; * জীণ হয় ; এতন্নিমিত্তে রাগরাগিণী ধনি ৷ ও পক্ষিগণের মধুরস্বর অনবরত শ্রবণে উ- । ভ্যস্ত হঠতে হয়, এবং সৰ্ব্বদা কামের উপ পরাজয় করিয়া শ্রেয়ের অনুগত ইয়া ইহ ভোগে শরীরের অসুস্থত। হয় । এবং ইহাও প্রত্যক্ষ দেখা যাইতেছে, যে দুঃখ নুভব ব্যতীত ই দিয় দ্বারা সুখ বোধই হয় না । ক্ষুধা না চলে ফলাদিভোজনে প্রবৃত্তি হয় না, তৃষ্ণাৰ্ত্ত ন হইলে জলপানে শরীর স্নিগ্ধ হয় না, নিদ্রাকুল ন ডক্টলে শয়নে তপ্তি হয় ৯ 1 তােত এর হে প্রেয়, তোমর £ যে ইন্দ্রিয় মুখ, তাঙ্ক। সৰ্ব্বদা দুখ মিশ্রিতই । ङ्ग्न ! হে শোন. পিবেচনা কর, তুমি কি কে বল ইন্দ্রিয় সুখের নিমিত্তেই এপুথিবীতে সৃষ্ট ইয়াছ ; তোমার দ্বারা কি এই জগতের কোন উপকারের সম্ভাবন নাই ? এইবৃক্ষ দ্বারা কত প্রকার উপকার হইতেছে, তাঙ্গার ফল দ্বারা প্রাণি মাত্রের ক্ষুধ পিপাসা নিবৃত্তি হইতেছে, তাহার আশ্রয়ে কতৃপ্রকার বিহঙ্গ প্রভৃতি সুখে কাল যাপন করিতেছে, তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা । ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান করিতে, অজ্ঞান ব্যক্তিদিগকে জ্ঞান দিতে তুমিও এই পৃথিবীতে সৃষ্ট হইয়াছ । ইন্দ্রিয় মুখার্শ্বাসে ঈশ্বরের এই নিয়মের অন্যথা করিতে চেষ্টা করিলে একেবারে ক্লেশ সাগরে নিমগ্ন হইবে । অতএব এই মিথ্যাবাদিনী বিশ্বাস ঘাতিনী প্রেয় অঙ্গনার অমৃতাবৃত বিষ পূরিত বাক্যে মুগ্ধ না আপনাকে যন্ত্রস্বৰূপ জ্ঞান করিয়া সাধ্যমত ঈশ্বরের নিয়ম জানিয়া তদনুসারে কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করিতে প্রবৃত্ত হও, যে ইহকাল ও পরকালে সুখী হুইবে । মহাত্মা শৌনক শ্রেয় অঙ্গনার এই প্রকার চিতবাক্য শ্রবণানন্তর জ্ঞানোদয় প্রযুক্ত প্রেয় অঙ্গনার সৈন্য দল কাম ক্রোধাদি রিপুগণকে هدية স্তম্ভয় কালে স্থখ ও পরকালে মোক্ষপদ প্রাপ্ত হই লেন । অতএব হে সভ্য মহোদয়ের, প্রেয়কে পরিত্যাগ করিয়া শ্রেয়কে গ্রহণ কর, যে কল্যাণ হইবে । w -அeel%le அக সম্পতি পরম আহলাদের সহিত আমরা | مسي ایس۔ অবগত হইলাম যে বঙ্গদেশের কতক গুলীন তাঙ্গর ছায়া দ্বারা কত প্রকার জীবের শ্রান্তি । নিবারণ হইতেছে, তাহার পত্র দ্বারা কত প্রকার রোগ শান্তি, ও কত জন্তুর ক্ষুধা নিবৃত্তি হইতেছে। এই প্রকার বায়ু জল অগ্নি চন্দ্র সূৰ্য্য নক্ষত্র প্রভৃতি সকল বস্তুই জগতের উপকারের নিমিত্তে হইয়াছে। এই স। ধারণ নিয়মে মাত, পিতাকে শ্রদ্ধা করিতে, প্রতিবাসিদিগকে স্নেহ করিতে, রাজ্যের মঙ্গল চেষ্টা করিতে, দু:খি লোকদিগকে যন্ত্রণ হইতে উদ্ধার করিতে,পুত্র শিষ্যাদিকে সুবোধ মনুষ্য এদেশের প্রচলিত ধৰ্ম্ম যে সাকণর উপাসনা তাঙ্ক। পরিত্যাগ করিয়া বেদান্ত প্রতিপাদ্য এক অদ্বিতীয় নিরাকার পরব্রহ্মের উপাসনা প্রতিজ্ঞার সহিত গ্রহণ করিয়াছেন। তাঙ্কারদিগের প্রতিজ্ঞার তাৎপৰ্য্য এই যে গায়ত্রী বা অন্য শ্রীতিবিশেষের অবলম্বন দ্বারা বেদান্ত প্রতিপাদ্য পরব্রহ্মের উপাসনা করিবেন এবং উক্ত উপাসনার অন্তরঙ্গ সাধন যে কুকৰ্ম্ম পরিত্যাগ এবং সুকৰ্ম্ম অনুশীলন তাহাতে যত্নবস্ত থাকিবেন ৷ আমরা জ্ঞাত হইতেছি যে এই ব্রাহ্ম দল অর্থাৎ ব্রহ্মোপাসকদিগের দল ক্রমশঃ বিস্তীর্ণ হইতেছে । এই সময়ে ইহা অপেক্ষ এদেশে কি অধিক আনন্দের ঘটনা হইতে পারে। জগদীশ্বরকে অসংখ্য ধন্যবাদ করি