পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為abダ অষ্টম ভাগ স্থলরস ধারাকে উৰ্বদিকে কেবল স্থির রাখিবার জন্যে প্রায় বত্রিশ সের ভার কিন্য ধারণ যোগ্য শক্তি আবশ্যক হয় । . কিন্তু সে রস ধারা স্থির নহে, প্রতিক্ষণ অত্যন্ত বেগের সহিত সমুদয় পত্র পর্যন্ত সঞ্চালিত চইতেছে, ইহা কি অলপ শক্তির কৰ্ম্ম ? এই ক্রিয়া সম্পাদনের নিমিত্তে ঈশ্বর বৃক্ষাদির মধ্যে যে যন্ত্র রচনা করিয়াছেন তাহার দ্বারা প্রবল শক্তির সহিত পৃথিবী হইতে ক্রমাগত উৰ্দ্ধ দিকে রস উত্থিত হইতেছে কিন্তু পৃথিবী i | | | | ও আপনার আকর্ষণ শক্তি দ্বারা সেই বৃক্ষস্থ | উৰ্বগামি রস ধারাকে ভূমিতে আনয়ন করিতে চেষ্টা করিতেছে । অতএব ব্রহ্ম। গু কৰ্ত্ত পরমেশ্বর বৃক্ষাদির ঐ শারীরিক বলকে সেই প্রকার সূক্ষৰূপে পরিমাণ করিয়াছেন যাহাতে অবনির আকর্ষণের প্রতিবন্ধকতা পরাভূত হইয়া সেইৰূপ বেগে রসের সঞ্চালন হয় যাহাতে তাহারা নষ্ট না হইয়া ক্রমশঃ উন্নতই হইতে থাকে। উদ্ভিজ্জের উৰ্দ্ধ আকর্ষণ এবং পৃথিবীৰ অধ্য আকর্ষণ এই উভয় শক্তির পরস্পর উপযুক্ত সম্বন্ধ এবং আভ্রান্ত পরিমাণ দ্বারা বৃক্ষাদির রস পৰ্যটন কাৰ্য্য অতি পরিপাটীৰূপে নিয়ম পূৰ্ব্বক সম্পন্ন হইতেছে । পৃথিবী স্থূলতর হহয় তাহার আকর্ষণ এইক্ষণকার অপেক্ষ অধিক হইলে উর্দুরস সঞ্চালনের বেগও অবশ্য অল্প হইত তাহাতে যে ঋতুতে রসের যেৰূপ প্রাচুর্য্য আবশ্যকতাহার অভাব হইয়া সুতরাং তরুলতাদি ক্রমে ক্রমে শুষ্ক দশা প্রাপ্ত হইত। পৃথিবীর স্থূলত্বের বৃদ্ধির সচিত তাহার আকর্ষণের এপ্রকার বৃদ্ধি করিলেও ঈশ্বর করিতে পারিতেন যাহাতে উদ্ভিজ্জ জীবনের মূলীভূত যে রসের গতি তাহা এক কালীন রুদ্ধ হইত ; তাহা হইলে এই রত্নময়ী পৃথিবীতে বৃক্ষাদির শোভা কোখায় থাকিত । তৃণ পত্র সস্যাদির অভাবে আমরাই বা কোথায় থাকিতাম ? * প্রাণিদিগের শরীরের সহিত পৃথিবীর মূলত্বের কি আশ্চৰ্য্য সম্বন্ধ রহিয়াছে! জন্তুর শরীর মধ্যে যথাযোগ্য স্থানে মাংসপেশী সকল আছে, সেই সকল মাংসপেশীর স তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ৷ ঙ্কোচন এবং শৈথিল্য দ্বারা বল উৎপন্ন হয় এবং তাহার দ্বারাই দেহ যস্ত্রের সমুদয় কাৰ্য্য নিপুণৰূপে সম্পন্ন হয় । সেই বল দ্বারা জন্তুসকল গমন ভোজন ধাবন প্রভূতি কত কৰ্ম্ম সাধন করে এবং কেবল সেই বল দ্বারাই পৃষ্ঠোপরি বা মস্তকোপরি তাহারা প্রকাও ভার সকল বহন করিতেছে। কিন্তু জন্তুদিগের এই স্বভাব সত্ত্বে যদি পৃথিবীর স্থূলত্ব বৃদ্ধির দ্বারা আকর্ষণের বৃদ্ধি হইত,তবে সেই আকর্ষণ শক্তি জন্তুদিগের শারীরিক বলের প্রতিবন্ধক হওয়াতে তাহারা স্ফৰ্ত্তির সহিত গতি বিধি করিতে সমর্থ হইত না । অধিকতর বলবান আকর্ষণ দ্বারা প্রাণিগণের বলের পরিমাণ অপেক্ষা শরীর অধিক ভারযুক্ত হইলে তাহারদিগের শরীর সঞ্চালন অতি কষ্ট সাধ্য হইত। ইহা হইলে মনুষ্যর বশীভত অশ্বগণ যথা প্রয়োজনমতে শীঘ বেগে ধাবিত হইত না , মৃগশাবক সকল অহলাদে পূর্ণ হইয় অরণ্যময় নৃত্য করিত না, লঘুদেহ পক্ষি গণ পক্ষ বিস্তার করিয়া প্রফুল্পতার সহিত বায় সাগরে ভাসমান হইত না, অত্যন্ত আকৃষ্ট হইলে মধুমক্ষিকের পুষ্পে পুষ্পে ভ্রমণ করিয়া সুখের সহিত মধুসঞ্চয় করিত না এবং আনন্দময় শিশু সকল প্রফুল্ল আননে ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিয়া মাতা পিতার স্নেহ পূর্ণ অন্তঃকরণকে প্রসন্ন করিত না । পৃথিবী পরিমাণ কিঞ্চিৎ অধিক হইলেই এই সকল দুর্ঘটনার সম্ভাবন! $ অবনির এ প্রকার প্রকাণ্ড স্থূলত্ব হইলেও হইতে পারিত যাহাতে আকর্ষণ আত্যন্তিক অপরিমিত হইয়া সমুদয় জঙ্গম জন্তুকে স্থাবর বৃক্ষাদির ন্যায় অচল করিত, যাহাতে এপৃথিবী বর্তমান জন্তু সকলের অবাস যোগ্য আর হইত না । ধরণী:অতিলঘুহইয় তাহার আকর্ষণও অতি অল্প হইলে অন্য এক বিপরীত প্রকার অশৃঙ্খল উপস্থিত হইত। পৃথিবীন্থসকল দ্রব্য অতিঅল্প শক্তিতে চাঞ্চল্যমান হইত, অতি ক্ষীণ শক্তি দ্বারা তাহারা পুনঃ পুনঃ ঘাত প্রতিঘাতপ্রাপ্ত হইয়াসৰ্ব্বদা অস্থির অবস্থায়খাকিস্কৰাচুৰ্ণহইত,মামারদিগেরশস্ত্রীর অতিক্ষপ