পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SNO3 মুক্তির প্রতি সাক্ষাৎকারণ, কিন্তু লোকেরা পাপাচ্ছন্ন প্রযুক্ত এই সকল হিত বাক্যকে পরিত্যাগ করিয়া আমোদ বাক্যকেই গ্রহণ করিল ৷ কৃষ্ণপক্ষে যে প্রকার প্রতি দিবস চন্দ্রপ্রভা ক্ষয় হয়, ভারতবর্ষে সেই প্রকার ক্রমশঃ ধ- ! ৰ্ম্মের আলোক হ্রাস হইতে লাগিল । এই অবসরে অনেকে স্বার্থপর হইয়া লোকদিগের প্রবঞ্চন জন্য নানা প্রকার শাস্ত্র কণপনা করিল । লোকের জ্ঞান ও এ প্রকার আচ্ছন্ন হইল যে কোন শাস্ত্র সত্য বা অসত্য, সমূলক বা অমূলক এ বিবেচনাতে অশক্ত হইয়া স্পষ্ট প্রবঞ্চনাকেও সত্য ৰূপে গ্রহণ করিতে লাগিল । বধি হইল কতক গুলীন গোস্বামি প্রভূতি একত্র চইয়া শচীপুত্ৰ গৌরাঙ্গকে জন্ম মৃত্যু বিহীন পরব্রহ্ম করিয়া প্রবল ৰূপে বিখ্যাত করিয়াছে । হস্ত পদ রক্ত মাংস যুক্ত জন্ম মতু বিশিষ্ট যে মনুষ্য তাহাকে জন্ম মৃত্যু শূন্য নিরাকার পূর্ণব্রহ্ম কপে আরাধন করাই এক মতা অপরাধের হেতু ; তথাপি তাঙ্কার উপাসনা কুকৰ্ম্ম নিবারণের প্রতি কারণ হ চলে ও সে অপরাধ কতক ক্ষমা যোগ্য হইত, কিন্তু তাহার। এই গৌরাঙ্গের উপাসনর অঙ্গ বীপে এ প্রকার সকল লজ্জাকর এবং ঘূণা জনক ব্যবহারের প্রচার করি প্রায় দুই শত বৎসর তা- ; I য়াছে,যে তাচ তে পৃথিবী ঘোরতর যাতনায় । রোদন করিতেছে ফলতঃ তাহারদিগের এই ধৰ্ম্মের যে প্রকার দুনীতি তাঙ্কাতে স্ত্রী পুরুষ উভয়েরই চিত্ত অনায়াসে পাপাসক্ত হয় । ইহারদিগের প্রধান প্রধান আদি শাস্ত্র, কতক গুলীন পয়ার রচিত গ্রন্থ,তদাদেশানুসারে তাহারা তাহাই পাঠ করেন এবং সেই সকল পাঠের অর্থ ধারণ করাই বিশেষ পুণ্য বোধ করেন, যাকাতে গোপাঅনাদিগের সহিত কৃষ্ণের রাসলীলা প্রভৃতি ক্রীড়। সকল বর্ণিত আছে । মনুষ্যের মনে এই সকল ভাব উদয় হইলে ইন্দ্রিয় সুখের লালসা সহজেই উৎপন্ন হয়। যখন দুষ্পবৃত্তি উদয় হয় তখয মনের স্বভাবতঃ তাহারদিশ্নের এই প্রকার বোধ অবশ্য হয়, যে যিনি পরমগুরু উপাস্য হয়েন তিনি যে কর্মের মূষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছেন তাহার অনুবৰ্ত্তি হইয়া সেই কর্মের অনুষ্ঠান করা পুণ্য ব্যতীত কদাপি পাপের কারণ হইতে পারেন । ৰিশেষতঃ এই গৌরাঙ্গমতাবলম্বিনী দুর্ভাগ্য স্ত্রীলোকদিগের সতীত্ব রক্ষা করা অতি দুষ্কর হয়; একে তাহার কোন বিদ্যা অভ্যাস করে না, তাহাতে মূখদিগের সহিত সৰ্ব্বদা সহবাস, ইহাতে গোস্বামিরা এবং তদনুচরের অবসর পাইলেই সংগোপনে তাহারদিগের মধ্যে পাত্র বিশেষে এই উপদেশ প্রদান করেন, যে মানস তুমি কৃষ্ণকে পতি ৰূপে বরণ কল, স্বামিকে পরিত্যাগ কর, এবং আপনি শ্ৰীমতী রাধিক বা রাধিকার সহচরী রূপে কৃষ্ণের সেবিকা হও । এই প্রকারে এই ক্ষণকণর প্রচলিত কাল্পনিক ধৰ্ম্ম স্ত্রীলোকদিগের বিনাশের কারণ হইমাছে । যাহার ঘোরতর শক্তি উপাসনাতে অভিরতা,ভৈরবী অভিমালিনী, তাহারা চক্র মধ্যে মদ্যপানে উন্মত্ত হইয়। যথেচ্ছ পুরুষ গমনে বিরত নহে ; এবং বৈষ্ণবী মধ্যে যাহারা যুগল মস্ত্রে দীক্ষিতা, তাহারদিগের মধ্যে গাঢ় প্রেম রসে রসিকা যাহারা তাঙ্ক রাক্লষ্ণের সহিত মানসিক লীলাতে তৃপ্ত না হইয়া কোন ধূৰ্ত্ততম গোস্বামিকে প্রতিনিধি কৃষ্ণ ৰূপে বোধ করিয়া বস্ত্র হর৭াদি ক্রীড়াভে নিরস্ত নহে ৷ পরমেশ্বরকে ধন্যবাদ করি যে এপ্রকার অভিষিক্ত ভৈরবী, এবং রসোন্মত্ত। বৈষ্ণবী অতি অলপ । যদি তিনি স্ত্রীলোকদিগের মনে পাপের দৃঢ় প্রতিবন্ধক ঘৃণা লজ্জা ভয়কে গাঢ় ৰূপে স্থাপিত না করিতেন, তবে তন্ত্র মন্ত্রের কুচক্রে এবং গোস্বামিদিগের কুটিল জালে পতিত হইতে কেহ আর অবশিষ্ট থাকিত না । স্ত্রীলোকেরা যে এই ৰূপ কুৎসিত ধৰ্ম্ম সকলকে অবলম্বন করিয়া কুকৰ্ম্ম শালিনী হইতেছে, ইহাতে কি তাহারদিগের প্রতি দোষাপ করা যায় । পুরুষদিগের দোষে কি এই সকল ঘটিতেছে না ? তাহারাষ্ট্রীদিগকে কোন বিদ্যার উপদেশ করেন না, যদি উপ