পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্বcথ (বণ সংগ্রক II স্বভাব আছে ষে শীত স্বারা ঘন হইয়া ভারী श्ब्ल, अश्श् ८उछ दोब्बा उज्ञत्र रुद्देश शयूश्च्न ! যে সকল শীতল দেশে অত্যন্ত শীত দ্বারা জল কঠিন হইয়া বরফহয় তাহাতে যদি সেই ৰয়ক জলের উক্ত সাধারণ নিয়ম দ্বারা ভার, হইয়। জল মধ্যে একবার মগ্ন হইত, তবে তাহা আর দ্রব হইবার কোন উপায় থাকিতন, যেহেতু সূর্যের তেজ নদী সমুদ্রাদির উপরি ভাগে সংলগ্ন হইয়। যদিও কিয়দংশ জলকে উত্তাপ দ্বারা দ্রব করিত, কিন্তু সেই উত্তপ্ত জল লঘুতা প্রযুক্ত নিয়ে মগ্ন না হওয়াতে নীচের বরফে গ্রীষ্ম লয় হইতে পারিত না, সুতরাং তাহা কদাপি আর দ্রব হইবার সম্ভাবনা থাকিত না । ইহা হইলে শীতল দেশের নদী বা সমুদ্র সকল যাহা শীতকালে কঠিন হইয়া বরফ হয়, তাহারা আর কদাপি দ্রব মা হওয়াতে নৌকাদির গম্য হইতনা, এবং জল জন্তুর আবাস যোগ্য হইত না । কিন্তু জগদীশ্বর এসকল দুর্ঘটনার শঙ্কা নিবারণ করিয়াছেন; তিনি এই মহোপকারি নিয়ম স্থাপন করিয়াছেন যে জল যদিও শীত দ্বারা ঘন ও ভারী হইতে থাকে, কিন্তু যখন অত্যন্ত শীতল হইয়া বরফ হয় সুতরাং জল মধ্যে মগ্ন না হইয় তাহার উপরি ভাগে ভাসমান থাকে । ইহাতে মৎস্যাদি জলচর গণ তাহারদিগের উপরি ভাগে অট্টালিকার ছাদের ন্যায় আচ্ছাদন প্রাপ্ত হইয়া বহিঃ শীত হইতে রক্ষিত হয়, এবং ইতস্ততঃ গমনাগমন করিয়া ক্রীড়া করত স্কৃত্ত্বি যুক্ত হয়, এবং গ্রীষ্ম ঋতুর আগ يك মনে সেই বরফ দ্রব হইলে নেকাদি নিঃশ- স্নেহ না থাকিলে পুত্রদিগের জন্ম মৃত্যুতেও কোন লভ্য হানি বোধ হইত না ; মৃতরাং পুত্রদিগের রক্ষার নিমিত্তে কোন যত্ন করি, স্কায় গমনাগমন করিতে শক্ত হয় । , অতএব যে পুরুষ জল এবং তেজের এই এক সম্বন্ধ মাত্র দ্বারা এপ্রকার অপুৰ্ব্ব ফল । i ! i | | | i . | | সকল উৎপন্ন করিয়াছেন যাহার কিঞ্চিৎ ৷ অন্যথা হইলে এপৃথিবীর ছখ দূরে থাকুক, সমুদয় মর্ত্য জীবের উচ্ছেদ হইত, তাহার মহিমা কি আশ্চৰ্য এবং করশ কি অৰি HSG তত্ত্ববোধিনীসভার বক্ততা। নাৰিয়তোদুশ্চরিতামাশাস্তোনাসমাহিতঃ। মাশান্তমানসোবাপি প্রজ্ঞানেনৈনমাখুয়াৎ ॥ যে ব্যক্তি মূষকৰ্ম হইতে বিরত হয় নাই, আর ইন্ত্রিয়ের চাঞ্চল্য নিমিত্ত্বে শান্ত হয় নাই, আর যাহার চিন্তু সমাহিত হয় নাই, আর ফল কামনা প্রযুক্ত যাহার মন শাস্ত হয় নাই, সে ব্যক্তি প্রজ্ঞান দ্বারা আত্মাকে প্রাপ্ত জয় না । ঈশ্বর এই সমুদয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, এবং এই সৃষ্টি রক্ষার নিমিত্তে তাবৎ বস্তুই অন্য অন্য বস্তুর উপকারার্থে নিয়োগ করিয়াছেন। সূৰ্য সৃষ্টি করিয়া উত্তাপ দ্বারা, বৃক্ষ সৃষ্টি করিয়া ফল দ্বারা এবং নদ নদী সৃষ্টি করিয়া জল দ্বারা নানা বিধ বস্তুর নানা প্রকারে উপকার করিতেছেন। সেই প্রকার অন্যের উপকারের নিমিত্তে পরমে শ্বর মনুষ্যেরও সৃষ্টি করিয়াছেন । মনুষ্যেরা পরস্পর উপকার না করিলে একেবারে সংসার উচ্ছিন্ন হইত। যেপ্রেকার পিতা মাতা এইক্ষণে পুত্রদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন, তাছা যদি না করিতেন, তবে সেই বালকদিগের ক্ষীণ শরীর রক্ষার উপায় তখন বিস্তারিত হইয়া লঘুতা প্রাপ্ত হয়, আর কি হইত । এই বালকদিগের রক্ষার নিমিত্তে পরমেশ্বর মনুষ্যের মনে স্নেহের সৃষ্টি করিয়াছেন । এই স্নেহ না থাকিলে পুত্রদিগকে যে প্রতিপালন করা অামারদি গের কৰ্ত্তব্য, তাহাও আমরা জানিতে পারিতাম না । যে প্রকার কোন মক্ষিক ব; পিপীলিকার জন্ম মৃত্যুতে আমারদিগের কোন লভ্য হানি বোধ হয় না, সেই প্রকার তাম না, তাহাতে সংসার নির্বাহ কি প্রকারে হইত ? সংসারের মঙ্গলার্থে আমরা অত্যন্ত মনোযোগ পূর্বক পুত্রদিগকে প্রতিপঃলন করিব, ঈশ্বর এনিমিত্তে স্নেহের সৃষ্টি এই স্নেহ ৰে কেবল জীবদিগের রক্ষায় | س تبع