পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (প্রথম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা। । () কালে ব্রাহ্মদল স্থাপনে অধিক উৎসাহী তেছি । জাতীয়তা, সদালাপ, সৎপরামর্শ, ছিলেন, তিনিই এইক্ষণকার ব্রাহ্মদিগের জাচার্য হইয়াছেন । তিনি একবার এবিবয়ে ক্ষোভ প্রাপ্ত হইয়। পুনৰ্ব্বার তাহার প্রাচীনকালে সেই প্রাচীন আশাকে পূর্ণ দেখিয়া অত্যন্ত আহাদযুক্ত কইয়াছেন, এবং সে আহলাদ তিনি ব্রাহ্মদিগের সম্মখে যে | প্রকারে প্রকাশ করিয়াছেন তাহা অনেক জ্ঞানোপদেশ, ইত্যাদি স্বখের হেতু সকল এই বাক্য বিনা কোথায় থাকিত ? কিন্তু বৰ্ত্তমান এই কিঞ্চিৎ উপকার মাত্র কি বা | | | | ক্যের ফল । ইহার দ্বারা পৃথিবীর অসাধারণ মঙ্গলউৎপন্ন হইতেছে। বায়ুর সহিত পুষ্পের | ব্রাহ্মই হৃদয়ঙ্গম করিয়াছেন। এইক্ষণে যে | বিধিবৎ ব্রহ্মোপাসনা দ্বারা দেশ উজ্জ্বল 零ー ইবে তাহার অতিশয় অাশা হইতেছে। হে জগদীশ্বর এই অাশা অচিরাৎ ফলবতী ক- } রিয়। এদেশ ব্রাহ্মদিগের দ্বারা পুর্ণ কর । --கஅை%le:அக ব্রাহ্ম সমাজের বক্ততা । ৫ পৌষ ১৭৬৬ শ্বক। প্রথম প্রকরণ । ষষ্ঠাধ্যায় । পরমেশ্বর দ্রব্য মাত্রের সহিত অামারদিগের কর্ণের এপ্রকার সম্বন্ধ করিয়াছেন যে পরস্পর দ্রব্যের প্রতিঘাত দ্বারা স্পদিত বায়ু কর্ণকুহরে প্রবিষ্ট হইলে শব্দের জ্ঞান হয় । বাগযন্ত্র সকলকে এপ্রকার বিচিত্ৰৰূপে রচনা করিয়াছেন যে তাহারদিগের মুকেশলযুক্ত প্রতিঘাতে স্থশব্দ বাক্যের উৎপত্তি হইতেছে যে বাক্যের দ্বারা আমরা স্থখ, দুঃখ, ৰাসনা প্রভৃতি মনের ভাব অন্যের নিকটে অনায়াসে ব্যক্ত করিতেছি । এই জড়পদার্থ জিহাদি বাগযন্ত্রের সহিত নিরাকণর মনের কি জাশ্চর্ষ্য সম্বন্ধ ষে তাঙ্কাতে কোন ভাবের উদয় মাত্র বাক্যষন্ত্র দ্বারা : তাহাৰ্যক্ত করিতেছি, এবং সেই জিহাদির প্রতিঘাতের সহিত পুনর্বার কর্ণের কি অপুর্বলম্বন্ধ ষে তদ্বারা এক ব্যক্তি বাক্য উচ্চারণ করিবণমাত্র জন্য কত ব্যক্তি তাহ অনাস্বাগে শ্রবণ করিয়া কৃতাৰ্থ হইতেছে। এই ৰাক্য থাকতে রোগ বা বস্ত্ৰণ জন্যের দিকষ্টে প্রকাশ করিয়া ভাল হইতে মুক্ত হই, সৌরভ যে প্রকার সঞ্চালিত হয়, ভাষার ম্রোতে মনুষ্যের জ্ঞানও সেই প্রকার পরস্পর আবহমান হইয়া আসিতেছে, এবং তদ্বারা জ্ঞানের উন্নতি ক্রমশঃ অধিক হইতেছে । মনুষ্য পুর্ণ শতায় হইলেও কেবল আপন চেষ্টা দ্বারা যে জ্ঞান লাভ করিতে শক্ত হয়েন, তারা তাহার আপন জীবন পালন করাষ্ট দুঃসাধ্য হয় । ইহাতে পদার্থ বিচার জ্যোতিরাদি নানা শাস্ত্র কি প্রকারে কেবল এক ব্যক্তির যত্ন দ্বারা লঙ্ক হইত ? এক ব্যক্তি জলের গুণ শিক্ষা করিয়াছেন, অন্য ব্যক্তি বায়ুর স্বভাৰ প্ৰকাশ করিয়াছেন, অপর কোন ব্যক্তি মৃত্তিকার গুণ অৰগত হইয়াছেন ; এইৰূপে পদার্থ বিচারের সৃষ্টি হইয়াছে । কোন ব্যক্তি সূর্যের দুর ৰির্দেশ করিয়াছেন, কেহ বা গ্রহচঙ্গাদির গতিবিধি নির্ণয় করিয়াছেন, অপর কেছ গ্রহণ গণনা স্থির করিয়াছেন ; এইৰূপে জ্যোতিষ শাস্ত্র প্রস্তুত হইয়াছে । এবগুকারে পরম্পর সাহায্য দ্বারা সমুদয় বিদ্যা প্রকাশ হইয়া ভাষার সহিত প্রবাহিত হইয়। আলিতেছে, ইহাতে জ্যোতিরাদি নানা শান্ত্রের উপদেশ আমরা গ্রন্থ অধ্যয়নাদি দ্বারা অনায়াসে প্রাপ্ত হইয়া কৃতার্থ হইতেছি,এবং পরম্পরা শ্রীতির প্রবাহ প্রচলিত জন্য তদ্বারা ব্ৰহ্ম লাভও করিতেছি । বিবেচনা করিলে ভাষা ততকালকে বৰ্ত্তমান করি য়াছে, এৰং বর্তমানকে ভবিষ্যৎ করিতেছে ; দূরকে নিকট করিতেছে, বিদেশকেও স্বদেশ করিতেছে । অতি প্রাচীনকালে অতি দর দেশীয় মনুষের চিত্তে যে অভিপ্রায় উপ স্থিত হইয়াছিল, তাহা ভাষার দ্বারা এইক্ষণে আমারদিগের মনে স্থাপিত হইতেছে। এই ভাষার অভাব হইলে কোন গ্রন্থ প্রজ্ঞफझे इहेक ब.८काम बिबीव्र झधétबे थtकिङ