পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতে পারি। কিন্তু প্ৰাণ প্রতিদ্ঠার আয়োজন কোথায় ? প্ৰাণ প্রতিদ্ঠা হইবে সেই দিন- যেদিন সমগ্ৰ জাতির মধ্যে মন্তিলাভের প্রবল আকাংক্ষা জাগরিত হইবে । কোথায় সে পরোহিত যে মতসঞ্জীবনী সাধা আহরণ করিয়া মন্মষে। জাতির দেহ পিঞ্জারের মধ্যে প্ৰাণ প্ৰতিদ্ঠা করিতে পারে ? ষে ব্যক্তি মন্তির আস্বাদ পাইয়াছে, মন্ত হইবার জন্য এবং জাতিকে মন্তে করিবার জন্য যে ব্যক্তি পাগল হইয়াছে, সে অপরকে পাগল করিতে পারে এবং সে-ই ‘জাতীয় যজ্ঞে’র পরোহিত হইবার যোগ্য। আমাদের এই যাব-আন্দোলন এইরপে শত-সহস্ৰ পরোহিত সন্টি করােক ! আমাদের আছে সবই, নাই শােধ এক বস্তু- নিঃশেষে আত্মবলিদানবাধাবিঘ্য অতিক্ৰম করিয়া, যাবতীয় বিপদ তুচ্ছ জ্ঞান করিয়া একটা আদশের পশ্চাতে সারাটি জীবন অনধাবনের ক্ষমতা । এই ক্ষমতা, এই tenacity of purpose আমাদের নাই, ইংরেজের আছে- তাই ইংরেজ এত বড়ো আর আমরা এত হীন, আমরা অন্তরের সঙ্গে দেশকে ভালোবাসি না, সবজাতিকে ভালোবাসি না। তাই আমরা করি গাহবিবাদ, তাই আমাদের মধ্যে জন্মায় মীরজাফল উমিচাঁদ। মীরজাফর ও উমিচাঁদ আজও মরে নাই- এখনো তাদের বংশবদ্ধি হইতেছে । আমরা যদি দেশকে ভালোবাসিতে শিখি তাহা হইলে আত্মবলিদানের ক্ষমতা লাভ করিব, আমাদের চরিত্রে অবিরাম ও অশ্রাম্পত পরিশ্রমের ক্ষমতা ternacity of purpose frpfặqI &It:(<! I aề Hiềĩề 35ĩ- tenacity of purpose বা moral Stam1na কোথায় পাইব ? বনে জংগলে ধগ-যািগাম্পত্যুর তপস্যা করিলেও পাইব না । পাইব নিম্বকাম কমের মধ্যে জীবন ঢালিয়া দিলেঅবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত হইলে, ঘরের কোণে বসিয়া উপাসনা করিলে বা সংসার ত্যাগ করিলে, সন্ন্যাস গ্রহণ করিলে- সাধনা বা শক্তি সঞ্চয় হয় না । শান্তি পাজা কথার কথা না। যদি কথার কথা হত তবে চিরদিন ভারত শক্তিপজে শান্তিহীন কাভা হত না । সাধনার স্বরপ তাই স্বামী বিবেকানন্দ ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন এইভাবে : “পজা তাঁর সংগ্রাম অপাের সদা পরাজয়, ठाशा ना 7द्भक (ऊभा, হৃদয় শমশান, নাচকে তাহাতে শ্যামা ।” é o