পাতা:তরুণের আহ্বান - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একটি চিরন্তন বাণী আছে । সমগ্র বাঙালী-জাতির যে অখন্ড ইতিহাস তাহা সেই শাশবত বাণীকে প্রকট করিবার জন্য চিরকাল চেণ্টা করিয়াছে, করিতেছে ও করিবে । আজ আমরা আমাদের ইতিহাসের ধারা ভুলিয়া যাইতে পারি। কিন্তু বাংলার ইতিহাস ও বাংলার প্রাণ-ধাম কখনো আমাদের ভুলিবে না । বাংলার প্রাণ চায় সবাদা- বৈচিত্ৰ্য, সমন্বয় ও সাম্য । বাঙালী সব কাজের মধ্যে বৈশিস্ট্য ও নতনত্ব ভালোবাসে । সে স্বভাবত গতিশীল ও পরিবতনাভিলাষী- “বিপ্লবী’ বলিলেও বোধ হয় অত্যুত্তি হইবে না । অতি প্রাচীনকাল হইতে এমন-কি বৈদিক যােগ হইতে, আজ পর্যন্ত এই কথার ভরি ভরি প্রমাণ পাওয়া যায় । বৈদিক যাগে মগধ, বঙ্গ প্রভাতি পােবােন্ডলকে “কিরাত’ দেশ বলা হইত । এই প্রদেশ আয সভ্যতার গাড়ীর বাহিরেই ছিল এবং এই দেশে কোনো আয* আসিলে সে পতিত হইত। এই অঞ্চলের অধিপতিবন্দের সহিত আষদের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্ৰাম চলিত । 'দস্য’, ‘অনায” প্রভাতি আখ্যা আমাদের নিকট পাইলেও এই অণচলের অধিবাসীরা যে অত্যন্ত সদসভ্য ছিল তাহা বেদ ও মহাভারত পাঠ করিলে বঝা যায় । বহত্তর মগধে ( বা পাবাড়লে ) অষ* সভ্যতা ক্রমশ প্রভাব বিস্তার করিলে সমিতির বিধান পরিবতন হইল এবং তখন পাবাঞ্চলে আসলে আষেরা পতিত হইত না । কিরাত দেশে গমনাগমনের বাধা উঠিয়া যাওয়ার পর এই প্রদেশের লোকের ক্রমশ অনুষ সমাজে স্থান পাইল । আয'সভ্যতার সংসপেশী লাভ করিয়া যে শিক্ষা (or culture) পাব। 'চলে গড়িয়া উঠিল-আমরা তাহাব নাম দিতে পারি ‘মাগধী শিক্ষা” (Magadhi Culture) } এই শিক্ষার কেন্দ্র প্রথমে ছিল মগধ দেশে কিন্তু পরবতী যাগে মগধ দেশ উত্তরাপথেব সহিত সম্পণেরপে মিশিয়া গেলে বঙ্গদেশ মাগধী শিক্ষার উত্তরাধিকাৰী হইল এবং মাগধী শিক্ষাবি নািতন কেন্দ্র বাংলায় উদ্ভত হইল । কিছুকাল বৈদিক সভ্যতার প্রভাবে বাস করিয়া পবাণsলধাসীরা বৈদিক ধমকি “ড ও বণাশ্রম ধম আর সহ্য করতে পারুিল না । দাইটি বিপ্লবের ধারা তখন এই প্রদেশ হইতে প্ৰাৰহিত হইল- জৈনধম। ও জৈন মতবাদ এবং বৌদ্ধধর্ম ও বৌদ্ধমতবাদ । এই বিপ্লবের ভিতর দিয়া ৰহত্তর মগধ চেষ্টা করিল সমাজের উচ্চ প্রাচীর ধবংস করিয়া সাম্য প্রতিষ্ঠা করিতে এবং বেদের পারলৌকিকতা ও কম ক্যান্ডের পরিবতে ইহ-জীবনে & N