দেখছি দিন দিন ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।” তখন সে স্বীকার করলে যে, গত কয়েক বৎসরে নানা প্রকার আঘাত পেয়ে তার এরূপ ভাবান্তর হয়েছে।
একথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে, গত দুই বৎসরে একটা সাময়িক অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধার ভাব বাঙ্গলাদেশকে ছেয়ে ফেলেছে। এর ফলে আমাদের কর্ম্মশক্তি কতকটা পঙ্গু হয়ে পড়েছে কিন্তু জঞ্জাল ঝেড়ে ফেলবার সময় এসেছে। অন্তরের শত্রুর চেয়ে বড় শত্রু মানুষের আর হতে পারে না। তাই অবিশ্বাসরূপ গৃহশত্রুকে সর্ব্বাগ্রে জয় করতে হবে, তা হ’লেই বাইরের শত্রুকে আমরা জয় করতে পারব। আজ বাঙ্গালীকে আবার দুর্জ্জয় আত্মবিশ্বাস লাভ করতে হবে। আদর্শে বিশ্বাস, নিজের শক্তিতে বিশ্বাস, ভারতের গৌরবময় ভবিষ্যতে বিশ্বাস—এই বিশ্বাসের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদের বিশ্ববিজয়ী হতে হবে।
বাঙ্গালাদেশের বর্ত্তমান অবস্থা পর্য্যবেক্ষণ করলে দুই কারণে খুব আশা হয়:—(১) ব্যায়াম চর্চ্চা ও ভূপর্য্যটনের স্পৃহা (২) তরুণের জাগরণ। কাপুরুষ ব’লে বাঙ্গালীর একদিন পৃথিবীতে অপবাদ ছিল—সে অপবাদ এখন গেছে। বাঙ্গালীর পরম শত্রু যিনি, তিনিও বোধ হয় এখন বাঙ্গালীকে সে অপবাদ দিতে সাহসী হবেন না। এই কাপুরুষতার অপবাদ কে দিয়েছিল এবং কি উপায়ে সে অপবাদ বিদূরিত হয়েছে তা বাঙ্গালী মাত্রেই জানে—এখানে তার উল্লেখ করবার প্রয়োজন নাই। কিন্তু শারীরিক দুর্ব্বলতার অপবাদ এখনও আছে—সে অপবাদ বাঙ্গালীকে দূর করতে হবে। বাঙ্গালী যে আজ এই অপবাদ দূর করবার জন্য বদ্ধপরিকর হয়েছে এবং এই উদ্দেশ্যে চতুর্দ্দিকে সমিতির প্রতিষ্ঠা চলেছে—ইহা বড় আনন্দের বিষয়। এই অপবাদ যদি চিরকালের তরে দূর করতে হয় তবে