রূপান্তর লাভ ক’রে দিবালোক সৃষ্টি করে—তখন মনে পড়ে সেই বাঙ্গলার আকাশ, বাঙ্গলার সূর্য্যাস্তের দৃশ্য। এই কাল্পনিক দৃশ্যের মধ্যে যে এত সৌন্দর্য্য রয়েছে তা কে পূর্ব্বে জানত!
প্রভাতের বিচিত্র বর্ণচ্ছটা যখন দিঙ্মণ্ডল আলোকিত ক’রে এসে নিদ্রালস নয়নের পর্দ্দায় আঘাত ক’রে বলে, “অন্ধ জাগো’—তখনও মনে পড়ে আর একটা সূর্য্যোদয়ের কথা, যে সূর্য্যোদয়ের মধ্যে বাঙ্গলার কবি, বাঙ্গলার সাধক বঙ্গ-জননীর দর্শন পেয়েছিল।
থাক—আমি বোধ হয় pedantic হ’য়ে পড়েছি। তবে এটা pedantry নয়—বাচালতা। ভাবের আদান প্রদান বহুদিন বন্ধ থাকলে যা হয়—তারই একটা দৃষ্টান্ত। Engine যেমন মধ্যে মধ্যে তার খানিকটা steam ছেড়ে দিয়ে আত্মরক্ষা করে—আমার অবস্থাও তদ্রূপ।
সেবক-সমিতির কাজ ভাল চলছে শুনে সুখী হলুম। Lansdowne branch-এর সহিত কোনরূপ মনোমালিন্য ঘটা উচিত নয়। আশা করি, তাঁরা কাজকর্ম্ম ভাল করছেন। দক্ষিণ-কলিকাতা সেবাশ্রমের Orphanage-এর জন্য যদি কিছু করতে পারেন তবে বড় ভাল হয়। এটার তেমন উন্নতি হচ্ছে না বোধ হয়—অথচ কাজটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আপনাকে চিনিতে আমার কষ্ট বা অসুবিধা হয় নাই। আশা করি আপনাদের সকলের কুশল। আমার প্রীতিসম্ভাষণ ও আলিঙ্গন গ্রহণ করবেন। ইতি—