পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস

গাছের পত্র শুষ্ক ও অগ্নিতে সংলগ্ন করিয় তাহার ধূম সেবন করিয়া থাকি। এই ধূমপানের দ্বারা আমাদের দৈহিক ও মানসিক ক্লেশের অনেক শান্তি হয়। ইউরোপীয়েরা তামাকের বিষয় এই প্রথম অবগত হইলেন। এই ঘটনার কিছু দিবস পরেই আমেরিকf ও উক্ত কিউবা দ্বীপ বাসীগণ তাম্রকূট সেবনের এক প্রকার যন্ত্রের আবিষ্কার করেন। একটি ত্রিমুখ যুক্ত নলের এক প্রান্তভাগে তামাক গুঁড়া করিয়া সাজিত ও অপর প্রান্তদ্বয় নাসিকার গহ্বর মধ্যে প্রবিষ্ট করিয়া দিয়া ধূম গ্রহণ করিত। গৃহীত ধূম, মুখ দ্বার বহির্গত করিয়া ফেলিত।

 ১৫৬০ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রানসে, সাহারাণ্ডেজ নামক একজন স্পেনীয় ডাক্তার, স্পেনাধিপতি দ্বিতীয় ফিলিপকে দেখাইবার জন্য ইউরোপের মধ্যে, প্রথম তামাক আনয়ন করেন। ফিলিপ কি প্রকারে তামাক উৎপন্ন করিতে হয়, জানিয়া আসিবার জন্য পুনরায় উক্ত ডাক্তারকে মেক্সিকো প্রদেশে পাঠাইয়া ছিলেন। ১৫৬১ খ্রীষ্টাব্দে ফ্রানস দেশে নাইকট্ নামক এক ব্যক্তি, রাণী ক্যাথারাইনকে এই পদার্থ উপহার দেন। বোধ হয় এই জন্যই তামকের তৈলাক্ত বিষের নাম নিকোটাইন হইয়াছে। প্রথমে যে স্থানে তামাক উৎপন্ন হইয়াছিল, তাহার নাম টোবাকো। সেই জন্যই স্পেনের লোকের ইহার নাম টোবাকো রাখেন। পূর্ব্বে কিউবাবাসীরা যে ত্রিমুখ নলে তামাক খাইতেন, তাহার নাম টোবাকো, বোধ হয় সেই জন্য ইহার নাম টাবাকু হইয়া থাকিবে। পর্ত্তুগাল