পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস
১১

হইয়াছিল। তৎসমকালীন কবিগণ স্ব স্ব প্রণীত কাব্যে এবং সাময়িক পত্র সমূহে ইহার যশ এত ঘোষণা করিয়াছিলেন যে, একজন শাসনকর্ত্তার মানের সহিত ইহার মান সমান হইয়াছিল।

 ১৬০২ খৃঃ অব্দে তামাকের বিষয়ে একখানি কাব্য প্রকাশিত হয়। উহার প্রণেতার নাম উল্লেখ নাই বটে, কিন্তু পুস্তকখানি ইংলণ্ডের একজন প্রসিদ্ধ কবি মিচলড্রে টনকে উপহার দেওয়া হয়। ঐ কাব্যে লিখিত আছে যে, “কোন সময়ে পঞ্চভূতের সভা সংস্থাপিত হয়। প্রমিথিয়স নামক দেবতা উক্ত সভায় এই প্রকার বলেন যে, পৃথিবীর সৃষ্টি এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই। ইহাতে এমন এক প্রকার গাছ উৎপন্ন হইবে যে, তাহার ধূমে মৃতব্যক্তিও কিছুক্ষণ চৈতন্য লাভ করিবে। পঞ্চভূত কর্ত্তৃক এই তামাকের গাছ সৃষ্ট হইয়াছিল। জুপিটার দেবতা এই তামাকের গাছ দেখিয়া অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হইয়াছিলেন। সেই সময়ে ক্রোধান্বিত জুপিটর এই অভিসম্পাত প্রদান করেন যে, সমস্ত ইউরোপ খণ্ড ও ইহার পরিচিত যে সকল দেশ আছে, সে সমস্ত দেশেই যেন ইহার চাষ না হয়। সেই জন্যই যতদিন আমেরিকা আবিষ্কার না হইয়াছিল, ততদিন ইহার প্রচলন স্থগিত ছিল।”

 পারস্য দেশে বহুকাল অবধি তামাক প্রস্তুত করিবার উৎকৃষ্ট প্রণালী প্রচলিত ছিল। সেই জন্যই কেহ কেহ বিবেচনা করেন যে, পূর্ব্বাঞ্চলেই ইহার প্রথম উৎপত্তি হইয়াছিল। আমেরিকা হইতে এদেশে তামাক আনীত