পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



তৃতীয় অধ্যায়।


দোষ ও গুণ।

প্রস্তাবনা।

 বিশ্ব-বিধাতা যে সকল শারীরিক নিয়ম মানবীয় শরীরে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তৃষাতুর অন্ধ মনুষ্য প্রতিদিন তাহা ইচ্ছাপূর্বক লঙ্ঘন করিতেছে। প্রাতে, মধ্যাহ্নে, অপরাহ্নে, নিশীথে সকল সময়েই মানব মণ্ডলী আপনার প্রবৃত্তি নিচয়কে ভোগের পথে ছাড়িয়া দিতেছে। কিন্তু প্রকৃতির বল কত কাল ইহা সহিয়া থাকে? এই যথেচ্ছ ব্যবহার কতকাল অব্যাহত থাকে? মোহান্ধ অপরাধী বহুদূর যাইতে না যাইতেই অবমানিত নিয়ম ভীষণ মূর্ত্তি ধারণ করিয়া তাহার গ্রীবা ধরিয়া ফিরাইয় আনে এবং অচিরে এমন নিষ্ঠুর ভাবে শাস্তি দেয়, যে সে তাহা আর কখনও বিস্মৃত হয় না। ইতিহাসে আমরা এই উপদেশ পাই, যে জাতি যে পরিমাণে নৈসর্গিক নিয়ম অবগত হইয়াছে এবং তদনুযায়ী কার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছে, সেই জাতি সেই পরিমাণে উন্নত হইয়াছে। কে বলে বঙ্গবাসী আজ পাশ্চাত্য সভ্যতার বলে সভ্য হইয়াছে? ঊনবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানালোকে তাহদের ঘোর তমসাচ্ছন্ন অন্তর আলোকিত হইয়াছে? হায়! কি ভ্রম!