পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।
১৭

তামাকের দোষ গুণ।

 তামাক পটাস দ্রব্যের সহিত চুয়াইলে এক প্রকার তৈলাকার ক্ষার-গুণ-বিশিষ্ট দ্রব্য পাওয়া যায়। ইহাকে নাইকোটিয়ানিন কহে। এই বিষ বর্ণহীন, তরল, উগ্র তাম্রকূটের গন্ধযুক্ত। আস্বাদ তিক্ত এবং কটু। এই বিষই মানব দেহের অতি অহিতকর পদার্থ। তাম্রকূটের ধূমপান করিলে শরীরে যে বিষক্রিয়া প্রকাশ পায়, ইহা বোধ হয়, ইহার ভক্তবৃন্দ মাত্রই অবগত আছেন। বহু দিবস পর্য্যন্ত তাম্রকূট ব্যবহার করিলে, অজীর্ণ, ক্ষুধামান্দ্য এবং পোষণ ক্রিয়ার হ্রাস হয়। তন্নিবন্ধন শরীর শীর্ণ, দুর্ব্বল ও পাণ্ডু বর্ণ হয় এবং বহুবিধ স্নায়ুশূল উপস্থিত হয়। প্রথম প্রথম তামাক অভ্যাস করিবার সময় বমন, বিবমিষা, অবসাদ এবং কাহারও কাছারও মূৰ্চ্ছাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। স্যার আষ্টলি কুপর, ডাক্তার কোপলণ্ড, স্যার চার্লস বেল, প্রভৃতি মহামহোপাধ্যায়গণ নানা প্রকার যুক্তি ও প্রমাণ দ্বারা স্থির করিয়াছেন যে, তামাক মানবদেহের অতি আহিতকর পদার্থ।

 একটি ৮ বৎসর বয়স্ক বালকের শিরোদেশে ক্ষত হওয়াতে কোন এক জন লব্ধ-প্রতিষ্ঠ চিকিৎসক উক্ত ক্ষত আরোগ্য করণাভিপ্রায়ে তাম্রকূটের রস প্রয়োগ করিয়াছিলেন। তিন ঘণ্টাকাল অতীত না হইতে হইতেই, উক্ত বালক করাল কাল ভবনে প্রেরিত হইয়াছিল।