পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।

 এতদ্ভিন্ন মলদ্বারে তাম্রকূটের পিচকারী দেওয়াতেও অনেকের মৃত্যু হইয়াছে। যখন ইউরোপীয়েরা তাম্রকূটের ধূমপান প্রথম প্রথম অভ্যাস করিতে আরম্ভ করেন, তখন তাঁহারা বলিতেন যে, তাম্রকূটের ধূম সেবন করিলে ক্ষুধা তৃষ্ণা প্রভৃতি নিবারিত হয়। শারীরিক কিম্বা মানসিক কোন পরিশ্রম অন্তে, যদি ইহার ধূম সেবন করা যায়, তাহা হইলে উক্ত উভয় বিধ শ্রমজাত ক্লেশ দূরীভূত হইয়া মন পুনরায় হর্ষোৎফুল্ল হয়। তাঁহারা আরও কহিতেন যে, দয়াময় ঈশ্বর আমাদের ঐছিক সুখের নিমিত্ত এই মহারত্ন অবনীতে প্রেরণ করিয়া আমদিগকে কৃতজ্ঞতা পাশে বদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন।

 কতিপয় প্রসিদ্ধ এম, ডি, ডাক্তারের মতে মানব দেহে যত প্রকার পীড়ার আবির্ভাব হয় তাহা সমস্তই এক মাত্র তাম্রকূটের ধূমপান দ্বারা উৎপন্ন হইতে পারে। ডাক্তার এডমণ্ড গার্ডিনা নামক একজন প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক পণ্ডিত কৃত “ট্রায়েল অব টোবাকু” নামক পুস্তকে দেখা যায় যে, তামাক প্রায় সমস্ত পীড়ার ব্যবস্থা পত্রে সন্নিবেশিত হইয়াছে। তামাক প্রথম প্রথম শ্বেতকায়দিগের যখন অভ্যাস হইতে আরম্ভ হয়, তখন ইউরোপীয় ভিষকগণ ইহাকে দুরূহ পীড়ার ব্যবস্থা পত্রে সন্নিবেশিত করিতেন। তাঁহারা আরও কহিতেন, দয়াময় ঈশ্বর, আমাদের প্রতি বিশেষ অনুকম্পা প্রদর্শন পূর্ব্বক এই সর্ব্বরোগ সংহারক মহৌষধ ধরাধামে প্রেরণ করিয়াছেন। এমন কি ব্রিটনের একখানি নাটকে লিখিত