পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস
১৯

আছে যে, প্যাগুরা নাম্নী অনুপম রূপলাবণ্য সম্পন্না একজন ষোড়শী যুবতী, স্বীয় উপপতিতে কঠিন প্রহার করায় মৃতপ্রায় হইয়াছিল বলিয়া উক্ত নিরীহ মহিলা চৈতন্য ও আরোগ্য করণাভিপ্রায়ে একজন দাসকে তাম্রকূটের গাছ আনিতে পাঠাইয়া ছিলেন।

 হেনরি বটস সাহেব ১৫৯৯ খ্রীস্টাব্দে একখানি পুস্তক প্রচার করেন। বটস ঐ পুস্তকে লিখিয়াছেন যে, তামাকের অত্যন্ত পরিপাক শক্তি আছে। ফল, মৎস্য, মাংস, শস্য ও মসলা প্রভৃতি সমস্তই ইহার দ্বারা পরিপাক হয়। ইউরোপীয় ও ভারতবর্ষীয় কতিপয় বিজ্ঞব্যক্তি কহিয়া থাকেন যে তাম্রকূট ব্যবহারে বুদ্ধিবৃত্তি নষ্ট হইয়া যায়। অপর কতিপয় পাণ্ডিত্যাভিমানী ব্যক্তির মুখে শুনা যায় ইহার দ্বারা সে অপকারের সম্ভবনা নাই; বরং তাম্রকূট ব্যবহারে বুদ্ধিবৃত্তি উত্তেজিত হয়। অন্ত্রাবদ্ধ রোগে এবং অন্ত্রবৃদ্ধি আবদ্ধ হইলে, তাম্রকূটের পিচকারী প্রয়োগ করায় উপকার হইতে দেখা গিয়াছে।

 এতদ্ভিন্ন ধনুষ্টঙ্কার এবং লিঙ্গ নালীক্ষেপ আদি রোগেও ভিষকগণ তাম্রকূট ব্যবহার করিয়া থাকেন। ইত্যাদি রোগে বেদনাস্থলে তাম্রকূট লাগাইলে বেদনা নিবারণ হয়। পেয়াইগো, স্কেবিজ, টিনিয়া, ক্যাপিটস্, প্রভৃতি চর্ম্মরোগে তাম্রকূট স্থানিক প্রয়োগ করাতে উপকার হইতে দেখা গিয়াছে। কতিপয় প্রসিদ্ধ শরীরতত্ত্ববিৎ বলেন, উপরোক্ত রোগ সমূহে ইহা ব্যবহার না করিলেও চলে, কারণ ইহা দ্বারা ঐ সকল রোগ উপশম