পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৪
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।

তামাক ব্যবহারের গোঁড়াদিগকে বুঝাইলেও তাঁহারা বুঝেন না; এইটিই আক্ষেপের বিষয়।

“ভূতে পশ্যন্তি বর্ব্বরাঃ।”

 কেহ কেহ তামাক খাওয়া পরিত্যাগ করিয়া নস্য ব্যবহার করেন। চাউল ভাজা বেশী অপকারী বলিয়া মুড়ি খাওয়া আর এরূপ ব্যবহার করা প্রায় উভয়ই তুল্য। অতিরিক্ত ধূমপান করিলে কেবল পাকস্থলি দূষিত হয় এমন নহে। ঘ্রাণেন্দ্রিয়ও সহজ অবস্থায় থাকিতে পারে না। কলিকাতা নর্ম্মাল বিদ্যালয়ের সুযোগ্য প্রধান শিক্ষক বাবু গোপালচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় কৃত মাদক সেবনের অবৈধতা ও অনিষ্টকারিতা নামক পুস্তকে ধূমপান সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন, তাহা পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, ধূমপান অত্যন্ত নিষিদ্ধ। ধূমপান কেবল নিষিদ্ধ বলিয়াই যে, তিনি নিরস্ত আগছেন এমন নহে। নিজেও পরিত্যাগ করিয়াছেন। পরিবার ও ছাত্রবর্গকে মাদকের মোহিনীমায়ায় প্রমুগ্ধ হইতে নিষেধ করেন। গোপাল বাবুর নির্ম্মল চরিত্র সকলের আদর্শ স্বরূপ, তাহার আর সন্দেহ নাই। এই ব্যক্তি কোন মাদকের মায়ায় মুগ্ধ নহেন।

 কলিকাতা মেডিকেল কলেজের অফিসিয়েটিং প্লিন্সিপল ডাক্তার ম্যাকনামারা ষ্টেটসম্যান পত্রিকায় তাম্রকূটের বহুবিধ দোষ উল্লেখ করিয়া একবার এক উৎকৃষ্ট প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন। ঐ প্রবন্ধ পাঠে আমরা অবগত হইয়াছি যে, ডাক্তার ম্যাকনামারাও সকলকে ধূমপান, করিতে নিষেধ করেন। কলিকাতার বড়বাজারের মল্লিক