পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।
২৫

পরিবারবর্গকে সি, এইচ, এ, ডল এম, এর মহোদয় ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দে “স্বাস্থ্য ও তামাক” এই নামধেয় একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক উপহার দিয়াছিলেন। ডল্ সাহেবের ক্ষুদ্র পুস্তকখানি সাক্ষ্য দেয় যে, ধূমপান দোষাবহ ও অস্বাস্থ্যকর।

 বঙ্গের বর্তমান প্রসিদ্ধ কবি বাবু বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বিষ-বৃক্ষে (হরিদাসী বৈষ্ণবীর উক্তি) যে তামাকের স্তোত্র লিখিয়াছেন তাহাও বিভ্রপাত্মক। বঙ্কিম বাবুর স্তোত্রটি বোধ হয় পাঠকগণের মধ্যে অনেকে অবগত আছেন। এই প্রকার পরিহাসক, বিদ্রূপাত্মক, তাম্রকূট স্তোত্র ইংরাজি ভাষায় অনেক পুস্তকে দেখা যায়, সে সকল সঙ্কলন অনাবশ্বক বোধে নিরস্ত্র রহিলাম।

 কলিকাতাস্থ গভর্ণমেণ্ট বাঙ্গালা পাঠশালার ভূতপূর্ব্ব শিক্ষক বাবু সাতকড়ি দত্ত তামাকের দোষ গুণ নামক একখানি ক্ষুদ্র পুস্তক বঙ্গভাষায় লিখিয়াছিলেন। সাতকড়ি বাবুর পুস্তকখানি প্রমাণ করে যে ধূমপান অত্যন্ত অনিষ্টকর ও দোষাবহ।

 সুইজর্লণ্ডে ৩ বৎসরের শিশুরাও ধূমপান করে বলিয়া শাপ হসেন কাণ্টনের কর্তৃপক্ষগণ সম্প্রতি একটি আইন করিয়াছেন যে, “অতঃপর ২৫ বৎসর পার না হইলে আর কেহই ঘরে বাহিরে কোথাও ধূমপান করিতে পাইবেন না।” এরূপ ধূমপান-নিবারিণী-সভা নগরে নগরে এবং পাড়ায় পাড়ায় হওয়া আমাদের মতে কর্ত্তব্য বলিয়া বোধ হয়।