পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৬
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।

 ডাক্তার এডমণ্ড গার্ডিনা প্রভৃতি কতিপয় ইউরোপীয় পণ্ডিতের মতে, তামাক মানবদেহের অতি অহিতকর পদার্থ। ডাক্তার জন লিমডারের পুস্তকে দেখা যায়, তামাক প্রায় সমস্ত পীড়ার ব্যবস্থাপত্রে সন্নিবেশিত হইয়াছে। আমরা এ স্থলে স্বীকার করি যে, তাম্রকূট কর্ত্তৃক মানব শরীরের বহুবিধ রোগের শান্তি হয়। কিন্তু সেইজন্য তামককে কি হিতকর পদার্থ বলিব? তাহা বলিতে পারিলাম না। যদি তামাক মানবদেহের হিতকর হয় তাহা হইলে আমার মতে সর্পবিষও মানবদেহের হিতকর। সর্পবিষেরও দুরূহ প্রলাপ-সংযুক্ত-বিকার শান্তির গুণ আছে। সুস্থ অবস্থায় সেই সর্পবিষ সেবন করিলে যেমন অনিষ্ট হয়, তামাকও সুস্থ অবস্থায় সেবন করিলে সেই প্রকার অনিষ্ট হয়, তাহার আর সন্দেহ নাই। পাঠকগণকে আমার যুক্তিপথের পথিক করিবার জন্য নিম্ন লিখিত একটি প্রমাণ প্রদর্শন করিলাম।

 ১৭৭০ সালে গোমরণ নগরে মহাত্মা হানিমানের অবস্থিতি কালে ঔষধের শক্তি বিষয়ে তাঁহার চিন্তা উপস্থিত হয়। এলোপেথি মতের ঔষধের রোগ নিরাকরণ শক্তি বিষয়ে চিন্তা করিতে করিতে কিছু স্থির করিতে না পারিয়া পরিশেষে একজন সুস্থ শরীরীকে কুইনাইন সেবন করাইয়া দেখেন যে, কিয়ৎ কালাবসানে তাহার দেহ জ্বরাক্রান্তু হইল। চিকিৎসা-বিদ্যা-বিশারদ পণ্ডিত প্রবর হানিমান এই প্রকারে এলোপেথি মতের ঔষধগুলি পরীক্ষা করিলেন এবং স্থির করিলেন যে,