পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।
২৭

সুস্থ শরীরে যে সকল ঔষধ সেবন করিলে যাদৃশ রোগ উৎপন্ন হয়, তাদৃশ লক্ষণাত্রান্ত রোগ সেই সকল ঔষধ দ্বারা উপশমিত হয়। যে সকল দুরূহ পীড়া তাম্রকূট ব্যবহারে নিরাকৃত হয়, সুস্থ শরীরে তাম্রকূট সেবন করিলে সেই সকল পীড়া উৎপন্ন হইবে না ইহা আর কোন্ বিচক্ষণ ব্যক্তি বলিবেন! ইউরোপীয় কতিপয় লব্ধ-প্রতিষ্ঠ এম, ডি, ডাক্তার মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করেন, যে মানব-দেহে যত প্রকার পীড়ার আবির্ভাব হয়, তাহা সমস্তই একমাত্র তাম্রকূট সেবনে উৎপন্ন হইতে পারে।

 ১২৮৭ সালের ২২শে অগ্রহায়ণে যে সহচর পত্রিকাখানি প্রকাশিত হয়, তাহাতে সুবিজ্ঞ সম্পাদক মহাশয় তামাকের বিষয় এই প্রকার লিখিয়াছিলেন;—“সম্প্রতি ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বলিতেছেন যে, তামাক খাইলে শরীরের বিশেষ অপকার হয়। জীবনীশক্তির হ্রাস হয়, এবং শ্বাস কাশাদি পীড়া জন্মে। আমাদিগের ডাক্তার কান্তগিরি অনেক দিন হইতে বলিতেছেন যে, তামাক খাওয়া অতিশয় দুষ্য। তামাকের অপেক্ষা চুরোট আরও অধিক অপকার করে। যে ব্যক্তির ৮০ বৎসর বাঁচিবার সম্ভাবনা তিনি যদি তামাক খান, তবে তাঁহার ৬০ বৎসরের মধ্যে মৃত্যু হইতে পারে। অতএব তামাকও বিষের ন্যায় মানুষের শরীরে অপকার করিয়া থাকে। পক্ষান্তরে আমাদের স্মরণ হয়, ডাক্তার পার্ট্রিজ প্রভৃতি তাঁহাদিগের রোগীদিগকে বলিতেন, যাহাদের শ্বাস কাশাদি পীড়া আছে, তাহাদের তামাক খাওয়া মন্দ নহে।