পাতা:তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
তামাকের দোষ গুণ ও ইতিহাস।

তাঁহারা তামাকের অপকারিতা স্বীকার করিতেন না। এক্ষণে আমাদের উভয় সঙ্কট। আমরা কোন পথ অবলম্বন করি।” পণ্ডিত প্রবর সম্পাদক মহাশয় যে প্রকার উভয় সঙ্কটে পড়িয়াছেন এই প্রকার সঙ্কট স্থলে অধিকাংশ লোক পড়িয়াছেন। তামাকের মনোমোহিনী শক্তি সকলকেই মুগ্ধ করিয়া রাখিয়াছে। তামাক আমাদের জীবন মরুভূমির একমাত্র সুশীতল ছায়া, এবং ভীষণ সংসার-সাগর-তরঙ্গের একমাত্র তরণী। বর্ত্তমান ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বলিতেছেন যে, তামাক খাইলে শরীরে বিশেষ অপকার হয়। ইহা দ্বারা জীবনী শক্তির হ্রাস হয় এবং শ্বাস কাশাদি পীড়া জন্মে। পক্ষান্তরে ডাক্তার পার্ট্রিজ প্রভৃতি শ্বাস কাশ রোগে তামাক খাইবার ব্যবস্থা দিয়াছেন। এস্থলে উভয় পক্ষেরই কোন ভ্রম হয় নাই। কারণ পূর্ব্বে উল্লেখ করা গিয়াছে যে, যে, ঔষধে যে লক্ষণাক্রান্ত রোগ উপশম হয়, সেই ঔষধ সুস্থ শরীরে সেবন করিলে সেই লক্ষণাক্রান্ত রোগ উপস্থিত করিবে। তামাক শ্বাস কাশ-গ্রস্ত রোগীকে সেবন করাইলে যদি তাহার শ্বাস কাশ আরোগ্য হয়, তাহা হইলে সুস্থ শরীরে তামাক সেবন করিলে অবশ্যই সেই শ্বাস কাশ রোগ উপস্থিত হইবে। কতিপয় পণ্ডিত বলিতেছেন যে, তামাক খাইলে শ্বাস কাশরোগ উপস্থিত হয়, অপর কতিপয় পণ্ডিত শ্বাস কাশরোগে ইহাকে ব্যবস্থা করেন। সুতরাং ইহা কোন পক্ষেরই ভ্রম হয় নাই। কেবল দুর্ভাগ্যক্রমে শ্রদ্ধাস্পদ—মহাশয়েরই