পাতা:তারাচরিত.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
তারাচরিত।

করিলেন। তারার মুখকমল অধিকতর প্রফুল্ল দেখিয়া মালতী বলিলেন সখি অদ্য আপনাকে এত আনন্দিত দেখিতেছি কেন? মেঘ চাহিতেই জল। আর যে দেখিতেছি ত্বর সহিতেছে না। আপনি যে যুবরাজের মোহন রূপরাশিতে মুগ্ধ হইয়াছেন। তারা বলিলেন সখি কি বলিলে আমি রূপে মুগ্ধ হইয়াছি! মালতী বলিলেন, আমি ত কোন অনিষ্টের কথা বলি নাই। রাজকুমারি আপনি যৌবন পদবীতে পদার্পণ করিয়াছেন, আপনার বিবাহের সময় হইয়াছে। শুনিয়া তারা বলিলেন, সখি এ পরিহাসের সময় নয়, আমি কাহারও রূপ কি মিষ্ট আলাপে পাগলিনী হই না, যাহারা শুদ্ধ তাহাতে ভুলিয়া যায় তাহারা রমণী কুলের অধম। মালতী বলিলেন সখি তোমার কথা আমার ভাল বোধ হইতেছে না। আচ্ছা বলুন দেখি সিংহের ভক্ষ্য বস্তু করি-মস্তক হইয়া থাকে, সে ছাগ মুণ্ড কখন আহার করে না। যুবরাজ যেমনি সুপাত্র আপনিও তদনুরূপ। যদি বিধাতার অনুগ্রহে আপনাদের উভয়ের মিলন হয় তবে কি অকৃত্রিম শোভাই সম্পাদন হইবে। জগতে রূপ আর মিষ্ট আলাপের চেয়ে রমণীর মন মুগ্ধকারী উপকরণ আর কি আছে। তারা বলিলেন, হাঁ তাহা সামান্য নারীতে সম্ভবে বটে। মিষ্টভাষী রূপবান পুরুষকে দেখিলে তাহারা একবারে অধৈর্য্য হইয়া পড়ে। কিন্তু সজনি যাহারা কামিনী কুলের প্রধান বলিয়া গণ্য হইয়া থাকেন তাহারা পুরুষের রূপের আদর বেশী করেন না। তাঁহারা শৌর্য্য বীর্য্য পুরুষার্থ প্রভৃতিরই বিশেষ আদর করিয়া