পাতা:তারাচরিত.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
তারাচরিত।

তোমার গমনে প্রয়োজন নাই, আপনি রাজকুমারী হইয়া যুদ্ধ কষ্ট সহিতে পারিবেন না। আপনি যুদ্ধ স্থান ভয়ঙ্কর দেখিয়া ভয় পাইবেন, তাহা হইলে আর আমরা দিক্ রক্ষা করিতে সাহসী ও সমর্থ হইব না। আপনি নিশ্চিন্ত হইয়া গৃহে প্রতি গমন করুন, আমি অতি সত্বরই যুদ্ধ জয় করিয়া সেই উৎপীড়কদিগের মাথা রাও সুরতনকে উপটৌকন দিব। আপনার কোমল অঙ্গ পথের কষ্টের যোগ্য নহে। দুগ্ধ-ফেণনিভ শয্যা আপনার বাস স্থান। কেমন করিয়া সমর শয্যায় অভিলাষিণী হইতেছেন। আমি বলিতেছি আপনি কোমল কমল তুল্য স্ত্রীজাতি, কি জানি যদি রণ তুফান দীর্ঘ কাল আন্দোলিত হইতে থাকে তাহা হইলে আপনাকে রক্ষণ করা ভার হইবে। এই সকল কথা শুনিয়া তারা বাই বলিলেন, হে মহাত্মন, আমাকে নিষেধ করিবেন না, আমার মন রণ তরঙ্গে নৃত্য করিবে, আমি তাহাই ভাল বাসিব; আর যদি আমার এই ছার প্রাণ পিতার রাজ্য উদ্ধারের জন্য যায় তাহাতে আমি কিছুমাত্র ভীত নহি, কারণ যদি পিতার রাজ্যের আমা হইতে কোন কার্য্য না হইল তবে এ জীবনে আর কাজ কি? হে সদাশয়! আমাকে নিষেধ করিবেন না। যদি আমা হইতে আপনার কোন উপকার হয় তাহ হইলে আমি আপনাকে কৃতার্থ জ্ঞান করিব। এই রূপ অনেক বাক বিতণ্ডার পর তারার যাওয়াই স্থির হইল। যাত্রা কালে তারার মনে পড়িল যে প্রিয় সহচরী মালতীর নিকট বিদায় গ্রহণ করা হয় নাই। তিনি তখন তাড়া তাড়ি