ডাকিয়া বলিল, ‘অ মহনের মা, আজ যে দেখি আ-ঘাটাতে চন্দ্র উদয়।’
মঙ্গলার বৌ বিরক্ত হইল। সুবলার বউ যে উহাকে দিন-রাত আগলাইয়া রাখে ইহা ভাল লাগে না। একদণ্ড একা পাইবার যো নাই।
বিরক্তি মানুষকে অনেক সময় নির্মম করিয়া তোলে। মঙ্গলার বউ একটু আগাইয়া ছাঁইচের তলায় আসিয়া এক-পা বারান্দার উপরে আর এক-পা নিচে রাখিয়া ঝুঁকিয়া পড়িল। তারপর হাতের তালুতে গাল ঠেকাইয়া বলার কথাটাকে গুরুত্বপূর্ণ করিয়া তুলিল, ‘কি লা সুবলার বৌ, আজ নগরে বাজারে কি সমস্ত কথাবার্তা শুনা যাইতাছে।’
‘কি সমস্ত কথাবার্তা?’
‘দশের বিচারের মধ্যে নাকি তার কথাখান ‘উদার্চন’ হইব।’
‘কার কথা গো, আ মহনের মা, কার কথা!’
‘ছাওয়ালের মার।’ মঙ্গলার বৌর কণ্ঠে শ্লেষ।
সুবলার বউ কথা না বাড়াইয়া তার ভুল শোধরাইয়া দিল, ‘দশজনের বিচারে তার কথা উঠব কেনে গো! সে কি কে’উর ‘বাপেন ধন সাপরে’ দিয়া খাওয়াইছে, না পথের মানুষ ডাইক্যা আন্ছে যে দশজন তার বিচার করব! ভাল কইরা না শুইন্যা তোম্রার মত উপর-ভাসা আমি কোনো কথা কই না, মহনের মা।’
সুবলার বউ সত্যই এত সহজে থামিল না, রাত্রের বৈঠকের