পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তিতাস একটি নদীর নাম
১৩৭

মাতব্বরের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাইল সেদিন হুকা টানিবার ছলে অনেকে এক সঙ্গে কাসিয়া।

 দয়ালচাঁদের মুখ দিয়া অনুচ্চ স্বরে বাহির হইল, ‘আমি হইলে তিতাসের জলে তলাইয়া গিয়া মান বাঁচাইতাম।’

 ‘দশের বৈঠকে লক্ষ্মণ-বর্জনের পালাখান তুমি কইর না দয়ালবেপারি। ব্রজলীলার দিনে কুরুক্ষেত্তর ঘটাইয়া লাভ নাই।’

 ‘কোন্ ত্রেতাযুগে কি কইয়া রাখ্‌ছ অখন তারে ধইয়া জল খাও।’

 নিজেদের মধ্যে ব্যাপার। তাই মাতব্বররা ওর বেশি কথা বাড়াইল না। কেবল রামপ্রসাদ তিরস্কার করিল, ‘কৃষ্ণচন্দ্র, মাত্‌বরগিরির মানমজ্জাদা তুমি বুঝি আর রাখ্‌তে চাও না।’

 কৃষ্ণচন্দ্র খুব লজ্জা পাইল, বলিল, ‘আর কটা দিন ক্ষেমা কর।’


 ‘ঠাকুর-সকল, আমার একখান কথা।’

 রামপ্রসাদ ফিরিয়া দেখে তার ঠিক পিঠের কাছেই রেশমি চাদর গায়ে একজন কথা কহিয়া উঠিয়াছে।

 ‘কি কইতে চাও কও না।’

 যারা এখান হইতে মাছ কিনিয়া শহরে গিয়া বিক্রি করে তাদের সামনে এক নতুন সমস্যা দেখা দিয়াছে। সে সমস্যার সে একজন ভুক্তভোগী। মোড়লের আশ্বাস পাইয়া জানাইল