আদেশমত সুবলার বৌ তাকে জিজ্ঞাসা করিল।
অনন্তর মা কাঁদিতে কাঁদিতে বলিল, ‘ভইনসকল গুষ্টিজ্ঞিয়াতির কথা আমি কিছু জানি না।’
শুনিয়া সকলেই নিরুৎসাহ হইল। কেহই তাহাকে নিজের সমাজে লইতে আগ্রহ দেখাইল না।
কৃষ্ণচন্দ্র বলিল, ‘আমার সমাজ বিশ ঘরের। ঘর আর বাড়াইতে চাই না।’
দয়ালচাঁদের সমাজও দশ ঘরের। প্রত্যেকটাই বড় ঘর। তার সমাজেও ঠাঁই হওয়া অসম্ভব।
মঙ্গলা বসিয়াছিল সকলের পশ্চাতে। ঠেলিয়াঠুলিয়া আগাইয়া আসিয়া সে বলিল, ‘আমার সমাজ মোটে তিন ঘরের।’
রামপ্রসাদ জিজ্ঞাসা করিল, ‘কারে কারে লইয়া তোর সমাজ?’
‘সুবলার শ্বশুর আর কিশোরের বাপেরে লইয়া।’
‘তা হইলে নতুন মানুষ লইয়া তোর সমাজ হইল চাইর ঘর।’
‘হ কাকা।’
কৃষ্ণপক্ষের রাত। দশমী কি একাদশী হইবে। কালিঢালা আঁধারের ভিতর দিয়া রামপ্রসাদ চলিয়াছে।
তার সারা দেহে বার্ধক্য যেন জোর করিয়া ছাপ মারিয়াছে। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গ্রন্থিবন্ধন যেন অনেক কষ্টে শিথিল