দেয়, ‘তুমি না কইছিলা ভইন আমার একজন পুরুষ চাই। হ, চাই-ইত। পুরুষ ছাড়া নারীর জীবনের কানাকড়ি দাম নাই।’
‘পুরুষ একটা ধর না।’
‘কই পাই।’
‘পাগলারে ধর।’
‘ধরতে গেছলাম। ধরা দিল না।’
‘ঠিসারা কইর না দিদি।’
‘আমি ভইন ঠিসারা করি না। সত্য কথাই কই। পাগলা যদি আমারে হাতে ধইরা টান দেয়, আমি গিয়া তার ঘরের ঘরনী হই। আর ভাল লাগে না।’
সুবলার বউ হতবুদ্ধি হইয়া যায়, ‘অত মানুষ থাক্তে এই পাগলার দিকে নজর গেল তোমার? অত যদি মন উচাটন হইয়া থাকে, জল আনতে গিয়া যারে মনে ধরে চোখের ঠার দিয়ো!’
‘পুরুষ কি ভইন কেবল এর-ই লাগি? পরের ঘরে চাইয়া দেখ, সংসার চালায় পুরুষে। নারী হয় তার সঙ্গের সাখী। আমার যত বিড়ম্বনা।’
‘না দিদি, তুমি পাগলের লাগি পাগলিনী হইয়া গেছ। এই পাগলেই একদিন তোমারে খাইব। আচ্ছা, সত্য কইরা কও তো দিদি, পাগলে যারে হারাইছে, সে জনা কি তুমি?’
‘পাগলে কারে কই হারাইছে, তার আমি কি জানি। আমি কেবল জানি, এক্লাজীবন চলে না। পাগলেরে পাইলে তারে লখ্ কইরা জীবন কাটাই।’