রাঁড়ি মানুষ করত। পরে নি গো বুঝে পরের মর্ম, একদিন খেদাইয়া দিল। বড় মায়া লাগল আমার। লইয়া আইলাম, যদি কোনদিন কামে লাগে।’
বলে কি, পরের একটা ছেলে—মাটির পুতুল নয়, কাঠের পুতুল নয়, একটা ছেলে এমনি করিয়া পাইয়া গেল? একি দেশে মানে, না দুনিয়া মানে। পেটে ধরিল না, মানুষ করিল না, পথের পাওয়া—তাই কি তার আপন হইয়া গেল? এমন করিয়া পরের ছেলে যদি আপন হইয়া যাইত তবে আর ভাবনা ছিল কি? কিন্তু হয় না। পরের ছেলে বড় বেইমান।
বনমালী ও পুরুষ দুইজন একটু আগেই অন্য ঘরে চলিয়। গিয়াছিল — কোন্ খালে কোন্ বিলে কোন্ সালে কত মাছ পড়িয়াছিল, তার সম্পর্কে তর্কাতর্কি তখন উচ্চগ্রামে উঠিয়াছে আর এঘর হইতে শোনা যাইতেছে। আসমানতারার বরের গল। সকলের উপরে। সরেস জেলে বলিয়া প্রতিবেশী দশ বারো গাঁয়ের মালোদের মধ্যে তার নামডাক আছে। সেই গর্বে আসমানতারা বলিল, ‘আমারে দিয়া দে দিদি, আমি খাওয়াইয়া ধোয়াইয়া মানুষ করি; পরে একদিন বেইমান পক্ষীর মত উইড়া যাউক, আমার কোন দুঃখ নাই।’
‘তোর ত দিন আছে ভইন। ঈশ্বর তোরে দিব—কিন্তু আমারে কোনকালে দিব না—এরে দিলে আমি নাচতে নাচতে লইয়া যাই!’ নিঃসন্তান বুকের বেদনা নয়নতার হাসিয়া হাল্কা করিল।
কেন আমি কি দোকানের গামছা না সাবান! কোন্