জোড়ায় জোড়ায় নারীদের মধ্যে বিবাহ হইতে থাকে আর একদল নারী গীত গাহিয়া চলে।
পূজার দিন এক সমবয়সিনী ধরিল, ‘দুই বছর আগে তুই আমারে বিয়া কইরা রাখ্ছিলি, মনে আছে? এইবছর তোরে আমি বিয়া করি কেমুন লা উদি।’
‘না ভইন্।’
‘তবে তুই কর আমারে।’
‘না ভইন। আমার ভাল লাগে না।’
বিয়ের কথায় অনন্তর আমোদ জাগিল, ‘কর না বিয়া, অত যখন কয়।’
‘তুই কস্? আচ্ছা তা হইলে করতে পারি।’
কি মজা। উদয়তারা নিজে মেয়ে হইয়া আরেকজন মেয়েকে বিবাহ করিতেছে! দুইজনেরই মাথায় ঘোমটা, কি মজা! কিন্তু অনন্তর কাছে তার চাইতেও মজার জিনিস মেয়েদের গান গাওয়াটা। তারা গাহিতেছে এই মর্মের এক গান: অবিবাহিতা বালিকার মাথায় লখাই ছাতা ধরিয়াছে; কিন্তু বালিকা লখাইকে একটাও পয়সা কড়ি দিতেছে না; ওরে লখাই, তুই বালিকার মাথায় ছাত ধরা ছাড়িয়া দে, কড়ি আমি দিব। তারপরের গান: ‘সেই দোকানে যায় গো বালা ঘট কিনিবারে!’ সেই ঘটে মনসা পূজা হইল, কিন্তু মনসা নদী পার হইবে কেমন করিয়া। এক জেলে, নৌকা নিয়া জাল পাতিয়াছিল। মনসা তাকে ডাকিয়া বলিল, তোর না খানা দে আমি পার হই, তোকে ধনে পুত্রে বড় করিয়া দিব।