‘সত্যের বিয়ার বরেরে তোর লাজ করে নাই? ওমা কেনে, লাজ করল না কেনে?’
‘সেই-কথা এক পরস্তাবের মত। বর আমার বাপের কাছে মুনী খাট্ত। মা বাপ কেউ আছিল না তার। সুত। পাকাইত আর জাল বুনত। আমার বয়স আট বছর, আর তার বার বছর। সেইনা সময়ে বাপে দিল বিয়া। এক সঙ্গে খেলাইছি বেড়াইছি, মাছ ধরছি মাছ কাট্ছি, আমি নি ডরামু তারে!’
‘ও মা! সেই কথা ক।’
‘একটা মজার কথা কই, শুন্। বিয়ার কালে আমি ত ফুল ছিট্লাম তার মাথায়, সে যত ছিট্তে লাগল, কোন ফুলই আমার মাথায় পড়ল না। ডাইনে-বাঁয়ে কাঁধে-পিঠে পড়তে লাগল, কিন্তুক মাথায় পড়ল না। কারোরে আমি ছাইড়া কথা কই না, আর সে ত আম্রার বাড়িরই মানুষ।—খুব রাগ হইল আমার। তেজ কইরা কইলাম, ভাল কইরা ছিট্তে পার না? মাথায় পড়ে না কেনে ফুল? ডাইনে-বাঁয়ে পড়ে কেনে? কাজের ভাস্সি নাই, খাওনের গোঁসাই!’
‘বরেরে তুই এমুন গালি পাড়লি? তোর মুখ ত কম খরোধরো আছিল না? বর কি করল তখন?’
‘এক মুঠ ফুল রাগ কইরা আমার চোখেমুখে ছুঁইড়া মারল’—
‘খুব আস্পর্দা ত! তুই সইয়া গেলি?’
‘না।’