‘পারে না? ওমা, কেনে পারে না?’
‘তুমি পুরুষ। আমার নাম কি তোমার নাম হইতে পারে?’
‘হইতে পারে না যদি, তবে এই নাম আমার রাখল কেনে। আমার মা নিজে এই নাম রাখছে। মাসীও জানে।’
‘কেবল মাসী জানে? আর কেউ না?’
‘যে-বাড়িতে আছি, তারা দুই ভাই-ভইনেও জানে।’
‘এই? আর কেউ না! ওমা, শুন’ তবে। আমার নাম রাখছে গণক ঠাকুরে। জানে আমার মায় বাবায়, সাত কাকায়, আর পাঁচ কাকীয়ে; আর ছয় দাদা আর তিন দিদিয়ে, চার মাসী দুই পিসিয়ে।’
‘ও বাব্বা!’
‘আরো কত লোকে যে জানে। আর কত আদর যে করে। কেউ মারে না আমারে।
‘আমারেও কেউ মারে না। এক বুড়ি মারত, মাসী তারে আটকাইত।’
‘মাসী আটকাইত, ত মা আটকাইত না?’
‘আমার মা নাই।’
মেয়েটি এইবার বিগলিত হইয়া উঠিল, ‘নাই! হায়গো কপাল! মানুষে কয়, মা নাই যার ছাড় কপাল তার।’
অনন্তর নিজেকে বড় ছোট মনে হইল। চট করিয়া বলিল, ‘মাসী আছে।’
মেয়েটি ভুরু বাঁকাইয়া একটা নিশ্বাস ছাড়িল, ‘মাসী আছে