মেয়েটির চোখ দুটি নাচিয়া উঠিল, ‘তোমার গলায় যে মালা দিলাম; কারো কাছে কইও না কইলাম।’
‘কইলে কি হইব?’
‘তোমারে বর বইল্যা মানুষে ঠাট্টা কর্ব।’
‘দূর। আমি কি শ্যামসুন্দর বেপারী, আমার কি ঐ রকম বড় বড় দাড়ি আছে যে আমারে বর কইব!’
‘বরের বুঝি লম্বা দাড়ি থাকে? মিথ্যুক।’
‘আমি নিজের চোখে দেখলাম। মা আমারে সাথে কইরা নিয়া দেখাইছিল। আরো কত লোকে দেখতে গেছিল। তারা কইল, এতদিন পরে বরের মত বর দেইখ্যা নয়ন সার্থক করলাম।’
‘ও, বুঝ্ঝি। বুড়া, বুড়া বর। সে ত বুড়া কিন্তু তুমি ত বুড়া না।’
অনন্ত বুড়া কিনা ভাবিয়া দেখিতে গিয়া সব গোলমাল করিয়া ফেলিল। এমন সময় ডাক আসিল, ‘কইলো অনন্তবালা, ও সোণার-মা!’
মায়ের আহ্বান। আদুরে মেয়ে। মা তাকে ডাকিতে দুইটি নামই ব্যবহার করেন। খাওয়ার সময় হইয়াছে। তার আগে নাইবার জন্য এই আহ্বান।
অন্য একটি মেয়ে সাপলা চিরিয়া বোতল বানাইয়াছে, তাতে গ্রন্থি পরাইতেছিল। সে মাথা না তুলিয়াই ছড়া কাটিল ‘অনন্ত বালা, সোণার মালা, যখনি পরি তখনি ভালা।’
‘দেখলা ত, আমার নাম কতজনে জানে। আমার নাম