দেখিয়া জনৈক ছুতারের গলায় গান জমিয়া উঠিল: ছোট লোকের খানা-পিনা রে বিহানে বৈকালে, বড় লোকের খানা-পিনা রাত্র নিশা কালেরে—হায় কান্দে, কান্দে রে দেওয়ান কটু মিয়ার মায়॥
সকলের বয়োজ্যেষ্ঠ ছুতার বাধা দিল, দেখ বুদ্ধিমানের পুত, ইহাদিগকে শুনাইয়া গান গাহিলে মাথা লইয়া দেশে যাইতে পারিবে না।
মাথা না হয় রাখিয়াই যাইব।
একটা লোক মাথা রাখিয়া আবার যায় কি করিয়া রমু ভাবিয়া পাইল না। তবে গানটা শুনিতে তার খুব ভাল লাগিল।
থামিলে কেন, গাওনা তোমার গান।
বড় মিস্ত্রী তার দিকে প্রসন্ন দৃষ্টিতে চাহিয়া বলিল, দুপুর বেলা আসিলে আমি গান শুনাইতে পারি, সকালে বিকালে পারি না।
দুপুরে যে আমি পড়িতে যাই।
তবে গান শুনিয়া কাজ নাই।
কাজ নাই কেন?
পড়িতে হইলে গান শোনা হয় না, আর গান শুনিতে হইলে পড়া হয় না, এই রকম যখন অবস্থা, তখন পড়াই ভাল, গান শুনিয়া কাজ নাই।
শুক্রবারে বক্তব ছুটি থাকে! দুপুর বেলা রমু লুঙ্গি পরিল, টুপি পরিল, কিন্তু গেঞ্জি পরিতে ভুলিয়া গেল। তারপর সে