রাজ্যের। তারা মুগ্ধ হইল এবং পরদিন হইতে যাত্রা দলের প্রতি অনুরক্ত হইল।
অন্যান্য মালোরা তাদের বাধা দিল। একঘরে করিবার ভয় দেখাইল। বুঝাইতে চেষ্টা করিল যাত্রার ঐ গান গানই নহে। উহার ভাব খারাপ, অর্থ খারাপ। এতে ছেলেদের মাথা বিগড়াইবে। মেয়েদেরও মন খারাপ হইবে। কিন্তু তারা বিচলিত হইল না। বরং বলিল: আরে রাখ রাখ, মালোদের গান আবার একটা গান। এও গান আর আমরা যা গাই তাও গান। আমরা তো গাই—‘আজো রাতি স্বপনে শ্যামরূপ লেগেছে আমার নয়নে। ফুলের শয্যা ছিন্নভিন্ন ছিন্ন রাধার বসনে॥’ কিবা গানের ছিরি। যাত্রার ঐ গানের কথা যেমন সুন্দর, সুরও তেমনি, শোনা মাত্রই মুগ্ধ করে। আমরা ছেলে যাত্রাদলে দিবই, তোমরা একঘরে কর আর যাই কর।
ফলে মালোদের মধ্যে দুইটা পক্ষ হইয়া গেল।
মঙ্গলার বউ একদিন ঘাটে পাইয়া জানাইল, ‘পথে বিপদ আছে ভইন, একটু সাবধানে পা বাড়াইও। একজন নাকি তোমারে ‘আজ্নাইবে’। কথাখান আমার মহনের কানে আইছে।’
সে কে, জিজ্ঞাসা করাতে মঙ্গলার বউ যার নাম করিল সে পাটনী-পাড়ার অশ্বিনী। বেটে-খাট চেহারা। মাথায় ঝাঁকড়া