অনেক গানের সুর মনে ভাসিয়া উঠিল। অদূরে একটা নৌকা। এদিকে আসিতেছে। কিশোর গলা ছাড়িয়া গান জুড়িল—
উত্তরের জমিনে রে,
সোনা-বন্ধু হাল চষে,
লাঙ্গলে বাজিয়া উঠে খুয়া।
দক্ষিণা মলয়ার বায়
চান্দমুখ শুখাইয়া যায়,
কার ঠাঁই পাঠাইব পান গুয়া।
নৌকাটা পাশ কাটাইবার সময় তারা কিশোরের গানের এই পদটি শুনিল—
নদীর কিনার দিয়া
গেল বাঁশি বাজাইয়া,
পরার পীরিতি মধু লাগে।
কু-খেনে বাড়াইলাম পা’
খেয়াঘাটে নাইবে না,
খেয়ানীরে খাইল লঙ্কার বাঘে।
একজন মন্তব্য করিল, ‘বুড়ারে দাঁড় টানতে দিয়া জোয়ান বেটা খাড়ইয়া রইছে, আবার রস কেমুন, পরার পীরিতি মধু লাগে।’
কিশোর আঘাত পাইয়া বলিল, ‘যাও তিলকচাঁদ, তুমি গিয়া ঘুমাইয়া থাক।’
তিলক নৌকার মালিকের আদেশ অগৌণে পালন করিল।
আবার নির্জনতা। যত দূর চোখ যায়, শুধু জল।
দাঁড়ের উপর মনের পুলক ঢালিয়া কিশোর বলিল, ‘বা’র গাঙ্ দিয়া ধর্ত দেখি সুবলা। খালি বালু দেখতে আর ভাল