মাইল তাঁর শাসনে। এখানে মাছ ধরিতে হইলে তাঁরই সঙ্গে বন্দোবস্ত করিতে হয়।
পরদিন সকালে মোড়লের বাড়ি হইতে নিমন্ত্রণ আসিল, দুপুরে তাঁর বাড়িতে সেবা করিতে হইবে।
দুপুরে স্নান করিয়া তিনজনে সেখানে উপস্থিত হইল।
মোড়লের বাড়িতে চার ভিটাতে চারিটি খড়ের ঘর। সংস্কারাভাবে জীর্ণ। তারই একটার বারান্দায় বসিয়া সে এক বাক্স রূপার টাকা গুনিতেছে। তার শরীর পাথরের মত নিরেট, অসুরের মত শক্ত। রঙ কালো। বয়স পঞ্চাশের উপর। কিন্তু মাংসে চামড়ায় বার্ধক্য ধরে নাই। কণ্ঠার দুইপাশের মোটা হাড়ে অজস্র দৈহিক বলের পরিচয়। কিশোর মনে মনে বলিল, ‘তোমার মত মুনীসের পঁচিশটায় শ’। তোমার চরণে দণ্ডবৎ।’
মোড়ল তার নূতন জেলেদিগকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইল।
‘নাম ত জান্লাম কিশোর। পিতার নাম ত জান্লাম না।’
‘পিতার নাম রামকেশব।’
‘হ, চিনতে পারছি। তোমরা ক’ ভাই।’
‘ছোট এক ভাই আছিল; মারা গেছে। অখন আমি এক্লা।
‘পুত্রসন্তান কি?’
‘আমার পুত্রসন্তান আমিই।’
‘হ, বুঝলাম। বিয়া করছ কই?’
কিশোর চুপ করিয়া রহিল। কথা বলিল সুবল। এইবার