এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
এস একবার এস সাধি পায়ে ধরি’
ফুল শেযে শুয়ে বঁধু মরি যে গুমরি’।
ঝরণা ঝরার মত আঁখিজল ঝরে,
কেঁদে নদী বয়ে যায় বঁধুয়ার তরে;
কি হ’বে ফুলের শেযে, চন্দনের খাটে,
বঁধু বিনা হাহাকারে সদা বুক ফাটে!
ফিরে এস, ফিরে এস, এস বঁধু মোর,
তুমি এলে শুকাইতে পারে আঁখি-লোর।
পথিক-বধূ
(মিশর)
দুয়ারের পানে সতত চাহিয়া থাকি,
বঁধু যে আমার আসিবে দুয়ার দিয়া,
পথে পাহারায় রেখেছি দুইটি আঁখি,
কর্ণ সজাগ স্তব্ধ ক’রেছি হিয়া!
স্তব্ধ হৃদয় অসাড় হইয়া আসে,
বন্ধু তোমার সাড়া যে পাইনে তবু;
তব ভালবাসা নিধি সে আমার পাশে,
তা’ বিনা পরাণ তৃপ্ত হ’বেনা কভু!
প্রবাসে বসিয়া পাঠায়েছ সমাচার,
‘বিলম্ব হবে’—জানায়েছ লিপিমুখে,
৯০