এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
জ্ঞান পাপী
হৃদয় সে হ’ল দর্পণ আপনার,
অতল-গভীর, তরল-পরিষ্কার!
জ্ঞান-বাপী-জলে সন্ধ্যা নামিল, হায়,
একটি তারার দীপ্তি দুলিছে তায়।
অকারণে আলো করিয়া প্রেতস্থান
মশাল জ্বালিয়া হাসিতেছে শয়তান।
এ এক গর্ব্ব! তৃপ্তি এ অপরূপ!
জেনে শুনে ঘোলা ক’রে ভোলা জ্ঞান-কূপ!
বদ্লেয়ার।
মনিহারা
রক্ত আলো মিলিয়ে গেল ইতস্ততঃ ক’রে,
মৌন চাঁদের সুষমাতে রাত্রি ওঠে ভ’রে!
জান্লা খুলে বাদ্লা হাওয়া নিই গো মাথা পেতে,
কালো চুলের লহর দোলে জ্যোৎস্না-তরঙ্গেতে!
নিশার বায়ু নীল পদ্মের গোপন কথা বলে,
টুপ্ টুপিয়ে শিশির পড়ে স্তব্ধ ঝাউয়ের তলে।
১০৭