পাতা:তীর্থরেণু.djvu/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
লয়লার প্রতি


তুমি যেথা নাই সে দেশে কেমনে থাকি?
স্বপনে যে আজো তোমারি মূরতি আঁকি।
নিরখি’ স্বপনে আঁখি ভরে আসে জলে,
জেগে দেখি আছি একাকী এ শিলাতলে!
মরুর মরীচি বিস্তারে শুধু মায়া,
ধরিবারে ধাই,—সুদূরে মিলায় ছায়া!
ভাবনার জ্বালা জ্বলিছে অনুক্ষণ,
মরণ-সাগরে ডুবিলে জুড়ায় মন।
আকাশের পাখী ধরিতে করি সাধ,
ধরিনু যখন নিয়তি সাধিল বাদ;
চোখের উপরে কেড়ে নিয়ে গেল তারে,
বক্ষে চাপিয়া ধরিলাম—নিরাশারে।
মায়াবীর রাজা খিজিরে করিনু সাথী,
অমৃতের কূপে পৌঁছিনু রাতারাতি;
তীরে গিয়ে দেখি শুকায়ে গিয়েছে জল,
সকল যতন হ’য়ে গেল নিস্ফল!
লয়লা আমার কর তুমি হাহাকার,
নিঠুর নিয়তি, নিস্তার নাহি আর।
মজ্‌নু! গুমরি’ গুমরি’ কাঁদ্‌রে তুই,
তোর অশ্রুতে ফুটিবে মরুতে শুভ্র সুরভি জুঁই।

হাতিফি।
১০৯