এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
হেথা মৃত্যু ফিরিছে দুয়ারে দুয়ারে,—
রাজা প্রজা কাঁপে ত্রাসে;
ওগো নৃত্য-শালায় নূপুরের ধ্বনি
বারে বারে থেমে আসে!
হেথা রাণী কেবা? হায়! দাসী কে হেথায়?
মরণ-অধীন সব!
হায় ধূলি শয্যায় এক হ'য়ে যায়
হাসি-রোদনের রব!
হায় অতুলন রূপ হয় অগোচর,
কুরূপের (ও) মুখ ঢাকে,
ওগো জলের লেখার মতন লুকায়
চিহ্ণ কিছু না থাকে!
যায় আলোক হইতে পুলক হইতে
মলিন ধূলির তলে,
এই উষ্ণ শোণিত হিম হ'য়ে যায়
ধমনীতে নাহি চলে!
হায় এমনি করিয়া লুকায় যেন সে
ছিল না মর্ত্য-লোকে;
ওগো সবার দৃষ্টি এড়ায় মানুষ,—
ভগবান ব্যতিরেকে।
১৪৬