“ডিবার মধ্যে নস্য আছে ভারি চমৎকার,
তুমি এখন পাচ্ছ না আর একটি কণাও তার।”
হীরার কণ্ঠী গলায় দিয়ে নাচঘরে যান ক্ষেত্রী,
কন্তীতে তাঁর নেত্র দিলেন একটি অভিনেত্রী;
ক্ষেত্রী কৃপণ মুখ বাঁকিয়ে বল্লে “সোহাগ থাক্,
হয় তোমার পদ্মচক্ষু, বাঁশীর মতন নাক,
দেখ ছ, ডিবায় নস্য আছে, কিন্তু সে আমার,
তুমি ডিয়ার! পাচ্ছ নাকো একটি কণাও তার।”
জগৎ ঘুরিয়া দেখিনু সকল ঠাঁই,
বিস্বাদ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব, পাপের অন্ত নাই!
অতি নির্ব্বোধ, অতি গর্ব্বিত নারী সে গর্ভদাসী,
ভালবেসে তার শ্রান্তি না হয় পূজিতে না আসে হাসি!
লালসা-লোলুপ পুরুষ পেটুক, কঠোর, স্বার্থপর,
বাঁদীর বান্দা, নরকের ধারা, পঙ্কে তাহার ঘর।
উচ্ছ্বাসি’ কাঁদে বলি পশুগুলা, কসায়ের বাড়ে খেলা,
শোণিত-গন্ধি হয় উৎসব যত পড়ে আসে বেলা।
নিষ্ঠা আচারে পাগলামি-পূজা করিছে কতই ভেড়া,
ছুটিতে গেলেই নিয়তি নীরবে উঁচু করে দ্যান্ বেড়া;