এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
পূর্ণ-মিলন
চেয়ে থাক, চেয়ে থাক; চেয়ে, চেয়ে, চেয়ে,—
যার পানে চেয়ে আছরি রূপে ছেয়ে
যা তনু মন প্রাণ; হও তন্ময়,
‘তোমার’ ‘আমার’ ভেদ হয়ে যাক্ ক্ষয়;—
‘চাওয়া’ হয়ে যাক্ ‘হওয়া’। নিস্পন্দ, নির্ব্বাক্,
ক্ষীরে নীরে মিলি মিশে এক হ’য়ে যাক্।
যে অবধি ‘দুই’ আছে, হায় ততক্ষণ
রয়েছে বিচ্ছেদ ভয়, রয়েছে ক্রন্দন।
পরম প্রেমের পুরে যেই পশিয়াছে,—
সে জানে একের ঠাঁই সেথা শুধু আছে;
দুই মিলে এক হ’লে তবে সে মিলন
সম্পূর্ণ সুন্দর হয়;—সার্থক জীবন।
জামি।
আমার দেবতা
মৃত্তিকা ছানি’ আমার দেবতা গড়েনি কুম্ভকার,
ভাস্কর আসি হানে নাই তাঁরে ছেনি ও হাতুড়ি তার;
অষ্ট ধাতুর নহেসে ঠাকুর সে নহেক পিত্তল,
অম্ল তেঁতুলে দেবতা আমার হয় না গো নির্ম্মল।
এ জীবনে আর করিতে নারিব অন্যের আরাধন,
মরমে পেয়েছি পরশ-মাণিক! সোনা হ’য়ে গেছে মন।
১৯৪