এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৶৹
ঘোষ (অরবিন্দ)—ইনি “স্বদেশ-আত্মার বাণী মূর্ত্তি” নামে অভিহিত হইয়াছেন।
চাং-চি-হো—(৭০০-৭৫০) কবি ও ‘তও’-পন্থী; ইনি “কুজ্ঝটিকার প্রবীণ ধীবর” নামে বিখ্যাত।
জয়নাব—ইনি তুরস্কের একজন স্ত্রী-কবি; স্বামীর হুকুমে ইহাকে কাব্যালোচনা বন্ধ করিতে হইয়াছিল।
জাফর—ইনি তুরস্কের কবি ও দ্বিতীয় বায়াজিদের একজন অমাত্য ছিলেন। রাজভৃত্যদিগের ষড়যন্ত্রে ইনি হারুণ-অল্-রসীদের মন্ত্রী জাফরের মত প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন।
জামি—(১৪১৪-১৪৯২) পারস্যের স্বনাম ধন্য কবি ও সুফি। ইহার পূরা নাম নূরদ্দিন্ আব্দর রহমন্ জামি। ইনি নির্লোভ ছিলেন; একবার তুরস্কের সুল্তান্ পাঁচ হাজার মোহর পাঠাইয়াছিলেন ইনি তাহা স্পর্শ করেন নাই।
জিউলে—হাঙ্গেরির কবি; ক্ষুদ্র গাথার প্রবর্ত্তক।
জুম্ সুলতান্—(১৪৫৯-১৪৯৫) ইনি তুরস্কের সুলতান দ্বিতীয় বায়াজিদের কনিষ্ঠ। পিতার মৃত্যুর পর ইনি অর্দ্ধেক রাজ্য দাবী করেন। কিন্তু সফলকাম হইতে পারেন নাই। মহম্মদীয় শাস্ত্রানুসারে কন্যারাও পুত্রের মত পিতৃ-ধনের অংশ পায়; কিন্তু রাজপুত্রেরা এই ব্যবস্থার সুফল ভোগ করিতে পান্ না। ঔরঙ্গজেবের ভ্রাতৃ-বিরোধের মূল এইখানে, জুম্ সুলতানের যুদ্ধের কারণও এইখানে। পক্ষপাতহীন মহম্মদীয় আইনের নির্দেশ, বোধ হয়, সাম্যবাদের দিকে; ইহার স্বাভাবিক পরিণতি, সম্ভবতঃ, Democracyতে।
ঝিন্দন—পাঞ্জাবের কবি।
টেনিসন্—(১৮০৯-১৮৯২) ইনি মহারাণী ভিক্টোরিয়ার সভাকবি ছিলেন।