এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
তীর্থরেণু
বিকাশ-ভিখারী
মুকুল যখন ফাটিয়া ফুটিছে ফুলে,—
ভরিছে ভুবন তপ্ত ভানুর করে,—
বিকাশ-ভিখারী অশরীরী কোন্ শিশু
মোর হিয়া মাঝে কাঁদে ওগো সকাতরে!
কহে সে “তুমি তো পুলকে ভ্রমিছ একা,
শস্যের ক্ষেতে, গোলাপের উপবনে,
মোর যে এখনো হয়নি জগৎ দেখা,
রেখেছ ক্ষুধিত, সে কথা কি নাই মনে?
মিনতি রাখ গো, ভিখারীর মুখ চাও,
কত আর রব বিকাশের পথ চেয়ে?
প্রসন্ন হও, প্রকাশিত হতে দাও,
তুমিও হরষে—দেখিয়ো—উঠিবে গেয়ে।
নাদুস-নুদুস হাত আমি একখানি,—
স্বপনের ঘোরে খুলী হও যারে চুমি;
পীযুষ-লুব্ধ দুটি কচি ঠোঁট আমি,—
তৃষিত রয়েছি, তৃপ্ত কর গো তুমি।
৩