পাতা:তীর্থরেণু.djvu/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু

শীতে তুমি খাটো শাড়ীর মতন
না ঢাকে সকল কায়;
লেপ-চাপা-পড়া শিশু সম হাঁফ্‌
লাগাও হে বরষায়!
ছুটে ছুটে ছুটে মাথা কুটে কুটে
ধূলায় মলিন বেশ,
খেটে খেটে খেটে জন্ম কেটেছে
কর্ম্মের নাহি শেষ!
দিবস যামিনী চলেছ এমনি
ছাড়িয়া পাহাড়-চূড়া,
পাথর নড়ায়ে চলেছ গড়ায়ে
উড়ায়ে সলিল-গুঁড়া।


সাগরের প্রতি

হে পিঙ্গল মত্ত পারাবার,
মোর তরে মন্দ্রভাষী তুমি এনেছ এনেছ সমাচার।
বিপুল বিস্তৃত পৃষ্ঠ তুলি’
চলেছে তরঙ্গ-ভঙ্গ তব; মাঝে মাঝে ক্রোড়-সন্ধিগুলি।
অতল পাতাল-গুহা প্রায়,
তারি ‘পরে অস্পষ্ট সুদুর তরী চলে স্পন্দিত পাখায়।
শুনি আমি গর্জ্জন তোমার,—
কহ তুমি, “তীরে বসি’ বিলম্ব করিছ কেন মিছে আর?
“ফেন-ধৌত আকাশ পরশি’

২৬