এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তীর্থরেণু
বিষম জটিল ফাঁদ দেছেন জড়ায়ে আমাদের পায়;
বজ্রে 'ওতঃপ্রোত করি’ মেঘ,
বিপর্যস্ত করিছেন তাই——পাশমুক্ত করি ঝজ্ঞঝাবেগ;—
যাহে নর হয় দুঃখজয়ী,
পরাজয়ে মাতে জয়োল্লাসে যাতনার নির্যাতন সহি’,
আপনার অজেয় আত্মায়,
প্রতিকূল নিয়তির সমকক্ষ করি’ আপ্ত ক্ষমতায়।
লও মোরে হে সিন্ধু মহান,
হও মা আনন্দের হেতু, হও তুমি স্বর্গের সোপান।
হে সমুদ্র, দুরন্ত কেশরী,
তোমারে আনিব নিজ বশে হেলায় কেশর-গুচ্ছ ধরি’;
নহে ডুবে যাব একেবারে
লবণা গভীর গহ্বরে অন্ধকার অতল পাথারে।
সুবিপুল ও বপুর ভার।
ধরিব নিজের পরে, করিব নিরোধ ভাগ্যেরে আমার।
হে স্বাধীন, হে মহাসাগর!
অমেয় আত্মার বল পরখিতে আজ আমি অগ্রসর।
ঘোষ।
মরু-যাত্রী
চলেছে উটের আরোহী চলেছে সীমাহীন প্রান্তরে,
বিঘ্ন বিপদ পদে পদে তার চিত্ত সজাগ করে।
২৮